ভারতীয় বাজারে আলুর দাম (Vegetable price) বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হলো পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চলে অকাল বৃষ্টির কারণে আলুর চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের জন্য এই বিপর্যয় অত্যন্ত কঠিন সময় এনে দিয়েছে, কারণ ফলন কম হওয়ার কারণে সরবরাহও কমেছে। ফলস্বরূপ, বাজারে আলুর দাম(Vegetable price) বাড়তে শুরু করেছে।
ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতি (Retail Inflation) নভেম্বরে কিছুটা কমে ৫.৪৮ শতাংশে পৌঁছেছে, অক্টোবর মাসে যা ছিল ৬.২১ শতাংশ, তবে তা মূলত কিছু খাদ্যদ্রব্যের দাম কমার কারণে। এর মধ্যে পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম কিছুটা স্বাভাবিক হলেও, আলুর দাম কিছুটা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত মাসে যেখানে দাম বেশী ছিল, ডিসেম্বর মাসে তা আরও এক ধাপ বেড়ে যায়। যদিও এর পাশাপাশি কিছু ভোজ্য তেলের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে, যা উপভোক্তাদের জন্য নতুন চাপ তৈরি করেছে।দিয়েছে। পেঁয়াজের দাম কিছুদিন আগেও আকাশ ছোঁয়া ছিল, কিন্তু বর্তমানে তা কিছুটা কমে এসেছে। তেমনি, টমেটোর দামও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু ভোজ্য তেলের দাম বাড়তে থাকায় ভোক্তাদের জন্য আবারও নতুন চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ক্রিসিলের রিপোর্ট অনুযায়ী, শীতকালীন শাকসবজির দাম সাধারণত ডিসেম্বর মাসে কমতে শুরু করে, কারণ খরিফ ফসল বাজারে আসতে শুরু করে। এর ফলে কিছু খাদ্যদ্রব্যের দাম কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে, এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হবে ভোজ্য তেলের দাম, যেটি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে ভারতের খুচরা মুদ্রাস্ফীতির ওপর চাপ বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী সপ্তাহগুলোতে ভোজ্য তেল এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের দাম কিছুটা কমতে পারে, তবে আলুর দাম যে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদে মানুষের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গে আলুর উৎপাদনে যদি কোনো রকম উন্নতি ঘটে এবং আবহাওয়া অনুকূল থাকে, তবে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হতে পারে। এছাড়া কৃষি বিভাগের তরফ থেকে যদি কোনও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তবে আগামী মাসগুলোতে এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতে পারে।
কলকাতার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতেও সবজির দাম আকাশছোঁয়া। সজনেডাটা দাম প্রতি কেজি ৫০০-তে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।