দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ (Delhi Police) কংগ্রেসের (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) তদন্ত শুরু করবে, যেখানে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি সংসদ ভবন চত্বরে বিজেপি (ভারতীয় জনতা পার্টি) দলের দুই সাংসদকে আহত করেছেন। একই সঙ্গে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাল্টা মামলা নিয়েও তদন্ত শুরু করবে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “ক্রাইম ব্রাঞ্চ এখন এই দুটি মামলাতেই তদন্ত চালাবে।”
ভয়াবহ! চলতি বছরে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ২২০০, পাকিস্তানে ১১২, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের
এই ঘটনায় একটি বড় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার সংসদের প্রবেশপথে বিরোধী দল ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) এর সাংসদদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটেছিল। সংঘর্ষের মূল কারণ ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ, যেখানে তাকে বি আর আম্বেদকরের প্রতি অবমাননা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সংসদীয় কার্যক্রম চলাকালীন অমিত শাহের ওই মন্তব্য নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং তাঁদের প্রতিবাদ জানাতে সংসদ ভবনের বাইরে মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে যান।
এসময়, সংঘর্ষের মধ্যে বিজেপি দলের সাংসদ প্রতাপ চন্দ্র সারাঙ্গী এবং মুকেশ রাজপুত আহত হন। তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে, এবং পরে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি দ্রুত পুলিশি তদন্তের আওতায় চলে আসে।
ছেলের নামকরণ নিয়ে ঝগড়া থেকে ডিভোর্সের মামলা গড়াল আদালত পর্যন্ত
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দায়ের করা পাল্টা মামলারও তদন্ত করা হবে। বিজেপি দলের সদস্যদের অভিযোগ, কংগ্রেস সাংসদদের আক্রমণের মাধ্যমে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, যা সংসদীয় শিষ্টাচার ও প্রক্রিয়ার পরিপন্থী। এদিকে, কংগ্রেস দলও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে, দাবি করে যে বিজেপি সাংসদদের আক্রমণ করা হয়নি, বরং তারা শুধুমাত্র নিজেদের মত প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন।
এই ঘটনায়, দিল্লি পুলিশ এখন দুটি মামলাকেই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করবে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, পুরো ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে এবং পরিস্থিতির বিচারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সহিংসতার ঘটনার পর, পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশিত হলে তার ভিত্তিতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ভয়াবহ! চলতি বছরে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ২২০০, পাকিস্তানে ১১২, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের
রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়ে গিয়েছে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে, এবং তাদের দাবি, বিজেপি সরকার বিরোধী দলের সাংসদদের ন্যায়সঙ্গত প্রশ্ন করার অধিকার অস্বীকার করছে। অন্যদিকে, বিজেপি দলও তাদের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণমূলক ভাষা ব্যবহার করে তাদের সাংসদদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এই পরিস্থিতিতে, ক্রাইম ব্রাঞ্চের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষই কিছু নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না। তবে, এটি পরিষ্কার যে, ভারতের রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনা একটি নতুন মোড় নিতে পারে, এবং বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।