স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজনের (Oscar Bruzon) হাত ধরেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ট্রফির খরা কাটিয়ে গত বছর সুপার কাপ জয় করেছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সেই ধারা বজায় রেখে এবার মরসুম শুরু করার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। ডুরান্ড কাপ হোক কিংবা আইএসএল, প্রতিটি ক্ষেত্রেই হতাশাজনক পারফরম্যান্স করছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এই পরিস্থিতিতে বদল করা হয় দলের কোচ। তারপর থেকেই নিজেদের পুরনো ফর্মে ফিরতে শুরু করেন ক্লেটন সিলভারা। দেশের এই প্রথম ডিভিশন লিগে তাঁদের পারফরম্যান্স এবার তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সকলকে।
গত ডার্বিতে মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে আটকানোর পর টানা দুইটি ম্যাচে তাঁরা পরাজিত করে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং চেন্নাইয়িন এফসিকে। পরবর্তীতে ওডিশা ম্যাচে সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্য থাকলেও সেটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ফুটবলারদের চোট আঘাতের সমস্যা নিয়ে ও গত ম্যাচে তাঁরা পরাজিত করেছে শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসিকে। প্রথমার্ধের শেষে দুই গোলে পিছিয়ে থাকতে হলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ছন্দে ধরা দেয় মশাল ব্রিগেড। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের ব্যবধানে আসে জয়। এখন সেই ধারা বজায় রাখার লড়াই।
সূচি অনুযায়ী আগামী শনিবার নিজেদের পরবর্তী হোম ম্যাচ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হবে খালিদ জামিলের শক্তিশালী জামশেদপুর এফসির সঙ্গে। বলাবাহুল্য, আইএসএলের প্রথম লেগে জেডিএক্স স্পোর্টস কমপ্লেক্সে দুই গোলে পরাজিত হতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান দলকে। যারফলে এবার বদলার লড়াই হতে চলেছে সৌভিক চক্রবর্তীদের। তাছাড়া গত ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও জয় আসার ফলে এবার নিঃসন্দেহে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যুক্ত করবে দলের ফুটবলারদের। তাছাড়া ম্যাচের আগে আজ সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত থেকে ও যথেষ্ট ইতিবাচক থাকতে দেখা যায় লাল-হলুদ কোচকে।
তিনি বলেন, ” কালকে আমাদের জেতার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আর আমরা যদি কাল জিততে পারি তাহলে আমাদের ওপরে থাকা অন্যান্য দলের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব কমবে। পরের সপ্তাহে আমরা হায়দরাবাদকে হারাতে পারলে আমরা বছরটা প্রত্যাশিত জায়গায় থেকেই শেষ করতে পারব। এখন এটাই আমাদের স্বপ্ন, যাকে সত্যি করে তোলা সম্ভব। ওই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য যা যা করা দরকার সবই করতে বদ্ধপরিকর ফুটবলাররা”।
অস্কার আরও বলেন, ” আমি আসার আগে দলের ছেলেদের শরীরের ভাষা কেমন ছিল জানি না। তবে ওরা যে দলকে সাফল্য এনে দিতে চায় এবং সেজন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে রাজি, তা জেনে আমি খুশিই হয়েছিলাম। সপ্তাহের পর সপ্তাহ অনুশীলনের পর আমি বুঝতে পারি দল সত্যিই উন্নতি করছে। এখন তো আমাদের পারফরম্যান্স ও ফলেই বুঝতে পারছেন, কতটা উন্নতি করতে পেরেছি আমরা”।