দুরত্ব বাড়ছে! নির্বাচন নিয়ে ইউনূসের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট বিএনপি, বেকায়দায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের (Bangladesh) চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েকদিনে তীব্র বিতর্ক ও অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। গত বুধবার রাতে বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির বৈঠকে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ…

Bangladesh: Conflict arise between Yunus and BNP over election remarks

বাংলাদেশের (Bangladesh) চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত কয়েকদিনে তীব্র বিতর্ক ও অসন্তোষ প্রকাশ পেয়েছে। গত বুধবার রাতে বিএনপির (BNP) স্থায়ী কমিটির বৈঠকে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের (Md.Yunus) বিজয় দিবসের বক্তৃতায় বাংলাদেশের নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা সম্পর্কে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয় এবং দলটির নেতারা এ বিষয়ে তাঁদের অবস্থান স্পষ্ট করেন।   

ভয়াবহ! চলতি বছরে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা ২২০০, পাকিস্তানে ১১২, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের

   

বিএনপির (BNP) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ইউনূসের বক্তৃতায় যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, তা তাঁদের প্রত্যাশার সঙ্গে মিলছে না। বিএনপি মনে করে, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হলে একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন, এবং সেই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের দাবি তাঁদের অব্যাহত থাকবে। দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে খালেদা জিয়ার দল বিএনপি কোনও ধরনের আপোষ করবে না এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে, নির্বাচন কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার এ দিনই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন, যেখানে তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণে কোনও বাধা সৃষ্টি করা হবে না। মজুমদারের এই মন্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘‘গণহত্যাকারী’’ আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ তারা কোনওভাবেই মেনে নেবে না। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের সরকারের অধীনে দেশের জনগণ কখনোই একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেখতে পাবে না, কারণ তারা স্বাধীনতার সময় থেকেই গণতন্ত্রের প্রতি অবিচল থাকতে পারেনি। 

নেপাল-ভুটানের সীমান্ত নিয়ে একেবারে চিন্তিত নয় ভারত’! শিলিগুড়িতে দাবি শাহের

এই অবস্থায়, রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি দাবি করছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারে না, কারণ সরকারের সকল পদক্ষেপই তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। ছাত্র আন্দোলনও তাদের অবস্থানে অনড়, তারা বলছে, ‘‘গণহত্যাকারী’’ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা সমর্থনযোগ্য নয়।

বিএনপির এই অসন্তোষ এবং ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, বিশেষত যখন রাজনৈতিক দলগুলি এবং জনগণের মধ্যে এভাবে দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যদি এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে না পারে, তবে ভবিষ্যতে সংঘর্ষ এবং অস্থিরতা আরও তীব্র হতে পারে, যা দেশটির গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। 

ঝরছে রক্তবিন্দু! প্রিয়াঙ্কাকে ‘১৯৮৪’ লেখা ব্যাগ উপহার বিজেপি সাংসদের

বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা আগের চেয়ে অনেক তীব্র হয়ে উঠেছে। একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের সময়সীমা এবং নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে ইতিবাচক কথা শোনা যাচ্ছে, অন্যদিকে বিরোধী দল এবং ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের অংশগ্রহণকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এটি একটি সংকটময় মুহূর্ত, যেখানে সবার দৃষ্টি সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে থাকবে।