কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর বড় পদক্ষেপ, ৫ নিহত

জম্মু ও কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir’s ) কুলগাম জেলায় আজ সকালে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন জঙ্গী নিহত হয়েছে এবং ২ জন সেনা…

5 Terrorists Killed in Encounter with Security Forces in J&K, 2 Soldiers Injured

জম্মু ও কাশ্মীরের(Jammu and Kashmir’s ) কুলগাম জেলায় আজ সকালে নিরাপত্তা বাহিনী ও জঙ্গীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন জঙ্গী নিহত হয়েছে এবং ২ জন সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে সন্দেহভাজন জঙ্গীদের (Jammu and Kashmir’s ) উপস্থিতি সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর কুলগামের(Jammu and Kashmir’s ) বহিবাগ এলাকার কাদের গ্রামে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।

বুধবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ যৌথভাবে কুলগামের কাদের এলাকায় একটি অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর চিনার কর্পস একটি পোস্টে জানায়, “১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাদের, কুলগামে জঙ্গীদের (Jammu and Kashmir’s ) উপস্থিতির খবর পেয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ একটি যৌথ অভিযান চালায়। সতর্ক সৈন্যরা সন্দেহজনক কার্যকলাপ লক্ষ্য করে। চ্যালেঞ্জ করার পর, সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। আমাদের বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পাল্টা জবাব দেয়।”

   

সংঘর্ষের সময় ৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জন জওয়ান আহত হন। আহত জওয়ানদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এই মাসের শুরুতে জম্মু ও কাশ্মীরের দাচিগ্রাম এলাকায় একটি সংঘর্ষে লস্কর-ই-তৈবা (LeT) সংশ্লিষ্ট একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল। নিহত সন্ত্রাসী, জুনাইদ আহমেদ ভাট, গাগঙ্গির ও গান্ডারবাল এলাকায় বেসামরিক লোকজনকে লক্ষ্য করে হত্যা করার সঙ্গে জড়িত ছিল।

এর আগে, গত মাসে জম্মু অঞ্চলে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Union Home Ministry) বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (National Security Guard বা NSG)-এর একটি দলকে জম্মুতে মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাস মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরে জম্মু অঞ্চলে জঙ্গী হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ১০টি জেলার মধ্যে ৮টি জেলায় জঙ্গী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছরের ঘটনাগুলোতে ৪৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে ১৮ জন নিরাপত্তা কর্মী, ১৪ জন সাধারণ নাগরিক এবং ১৩ জন সন্ত্রাসী রয়েছে।

 

নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গীদের নির্মূল করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপ বন্ধ করতে নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অপারেশন চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান সন্ত্রাস দমনে বড় ভূমিকা রাখছে।