মঙ্গলবার সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন সন্ধ্যায় নিজেদের হোম ম্যাচে শক্তিশালী পাঞ্জাব এফসির মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা ময়দানের এই প্রধান। সম্পূর্ন সময়ের শেষে জয় সুনিশ্চিত হয়ে গেলেও লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না। সাউল ক্রেসপো এবং মাদিহ তালালের পাশাপাশি দলের আরও একাধিক তারকা ফুটবলারের চোটে বর্তমানে জর্জরিত ইস্টবেঙ্গল। এই পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সাফল্য পাওয়া যথেষ্ট কঠিন যেকোনো দলের কাছে। তাই এই ম্যাচ নিয়ে প্রথম থেকেই যথেষ্ট চাপে ছিলেন সকলে।
তবে অস্কার ব্রুজন দলের দায়িত্বে থাকতে সহজে যে ইস্টবেঙ্গল হার মানবে না তাঁর প্রমাণ মিলে ছিল অনেক আগেই। ফের প্রমাণিত হল সেই কথা। এদিন ঘরের মাঠে ম্যাচ থাকায় প্রথম থেকেই যথেষ্ট চনমনে মেজাজে দেখা গিয়েছিল লাল-হলুদ ফুটবলারদের। প্রথমেই গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ডেভিড। কিন্তু সেটা কার্যকরী হয়নি। অফসাইডের জন্য বাতিল করা হয়েছিল সেই গোল। পরবর্তীতে সুযোগ বুঝেই ব্যবহার বাড়াতে শুরু করে পাঞ্জাব এফসি। আজমির সুলজিক এবং ভিদালের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলেও জয় নিশ্চিত করতে পারেননি প্যানাজিওটিস ডিলমপেরিস।
দ্বিতীয়ার্ধের মাত্র কুড়ি মিনিটের ঝড়ে কার্যত ছাড়খাড় হয়ে যায় পাঞ্জাব দল। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে আসে জয়। যা নিঃসন্দেহে খুশি করেছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। তবে পাঞ্জাব বধ করে ও চরম অস্বস্তিতে রয়েছে মশাল ব্রিগেড। ম্যাচ শেষে হুইল চেয়ারে করে মাঠ ছাড়তে হয় দলের তারকা উইঙ্গার নাওরেম মহেশ সিংকে। যারফলে আগামী ম্যাচে হয়তো তাঁকে মাঠে পাবেন না দলের নব নিযুক্ত স্প্যানিশ কোচ। বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকেলের সম্মুখীন হতে হচ্ছিল এই তারকা ফুটবলারকে।
তবে ম্যাচের মাঝামাঝি সময় থেকেই চোট সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় মহেশকে। এখনও পর্যন্ত তাঁর চোটের গভীরতা স্পষ্ট না হলেও মনে করা হচ্ছে আগামী বেশ কয়েকটি ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে ইস্টবেঙ্গলের এই ফুটবলারকে।