এসএফআই-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বারাসত কলেজ! ঝামেলা থামাতে গিয়ে রক্তাক্ত পুলিশ

কলকাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সিপিএম ছাত্র পরিষদ এসএফআই-এর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বারাসত কলেজ৷ বচসা থেকে হাতাহাতি৷ তুমুল সংঘর্ষে মাঝে পড়ে আহত হলেন পুলিশ কর্মী। ওই…

TMC and SFI student clashes

short-samachar

কলকাতা: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সিপিএম ছাত্র পরিষদ এসএফআই-এর সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বারাসত কলেজ৷ বচসা থেকে হাতাহাতি৷ তুমুল সংঘর্ষে মাঝে পড়ে আহত হলেন পুলিশ কর্মী। ওই পুলিশ আধিকারিকের দাঁত ভেঙে গিয়েছে বলে খবর৷ 

   

আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মঙ্গলবার সকালে মধ্যমগ্রামের চৌমাথা থেকে মিছিল শুরু করে এসএফআই। পাশাপাশি দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানোর দাবিও তোলেন তাঁরা। শান্তিপূর্ণ মিছিল মধ্যগ্রামের বিবেকানন্দ কলেজের কাছে পৌঁছতেই অশান্তির সূত্রপাত। নির্বাচনের দাবিতে কলেজ গেটের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন এসএফআই সমর্থকেরা। ভিতর থেকে কলেজের গেট বন্ধ করে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ৷ স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরাও৷ এসএফআই কর্মীদের দলীয় পতাকাও দেখানো হয়৷ তবে সেখানে বিশাল কোনও অশান্তি হয়নি৷ তবে যশোর রোড ধরে এসএফআইয়ের মিছিল বারাসত কলেজের সামনে পৌঁছতেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ 

এসএফআইয়ের মিছিল বারাসত গভর্নমেন্ট কলেজের সামনে পৌঁছতেই উল্টো দিক থেকে স্লোগান দিতে দিতে এগিয়ে আসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যেরা৷ দু’পক্ষ সামনাসামনি আসতেই বচসার সূত্রপাত৷ সেখান থকেই শুরু হয় হাতাহাতি৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রক্ত ঝরে এক পুলিশকর্মীর৷ আহত হয়েছেন এক এসএফআই কর্মীও৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি, এসএফআই-র সদস্যরা তাঁদের দেখে ঢিল ছোড়ে। তাই তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন৷ 

এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদে বারাসতের আয়কর মোড়ে জড়ো হন এসএফআই সমর্থকেরা৷ টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়৷ পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের দাবি, তাঁরাও নির্যাতিতার সুবিচার চান৷ কিন্তু এই দাবিতে কেন কলেজ গেটে বিক্ষোভ দেখাবে এসএফআই? পাল্টা এসএসএফ-আই-এর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে কলেজগুলিতে ভোট বন্ধ রয়েছে। একের পর এক  বেনিয়ম চলছে। সেই কারণেই বিক্ষোভ করেছেন তাঁরা৷ এসএফআই-এর যুগ্ম সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “এসএফআই-এর সদস্যরা কলেজের গেটে তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবি জানিয়েছে। এতে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের গাত্রদাহ হচ্ছে কেন? এসএফআই তো ছাত্র সংগঠন। ওরা তো কলেজ দখল করতে আসেনি৷ ওরা বারাসতের ডিএম অফিসে ডেপুটেশন দিতে যাচ্ছিল। সামনে কলেজ পড়ায় সেখানে কিছুক্ষণ স্লোগান দিয়েছে। আর তৃণমূল যদি তিলোত্তমার সুবিচারই চেয়ে থাকে, তাহলে ওদেরও উচিৎ ছিল আন্দোলনে সামিল হওয়া।”