বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মোদি

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের (PM Modi’s Vijay Diwas)এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি বাংলাদেশ স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যখন পাকিস্তানি বাহিনী…

PM CARES Fund Receives Rs 912 Crore in Contributions in 2023

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের (PM Modi’s Vijay Diwas)এক ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটি বাংলাদেশ স্বাধীনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, যখন পাকিস্তানি বাহিনী ভারতের সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন বাংলাদেশের(PM Modi’s Vijay Diwas) রূপে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয়। এ দিনের ঘটনাটি বাংলাদেশের (PM Modi’s Vijay Diwas) জন্য এক ত্রৈমাসিক বিজয়ের মাইলফলক, কিন্তু সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক টুইটে এই দিনটি নিয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

মোদীর টুইটটি ১৬ই ডিসেম্বর ‘বিজয় দিবস’ উপলক্ষে ছিল, যেখানে তিনি ভারতের সেনাবাহিনীর বিজয় এবং পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণকে তুলে ধরেন। কিন্তু মুশকিল হলো, এই টুইটে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অবদানের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। শুধু ভারতের সেনাবাহিনীর বিজয়ের কথা উল্লেখ করা হয়, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে বিস্ময় এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

   

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা, বিশেষ করে মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদস্যরা, মোদীর এই মন্তব্যকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে খাটো করার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন। আইনজীবী আসিফ নজরুল, যিনি ইউনূস সরকারের আইনগত উপদেষ্টা, তিনি তার প্রতিবাদে বলেন, “আমি গভীরভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। ভারত ছিল আমাদের মিত্র, আর কিছু নয়।” তিনি আরও বলেন, মোদী ভারতের বিজয়কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যা বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি অবমাননা।

এছাড়া, বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা মোদীর বক্তব্যে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞা এবং বাংলাদেশকে একটি সহযোগী দেশ হিসেবে ছায়া দেওয়ার বিষয়টি গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তার টুইটে শুধু ভারতের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক অর্জনই তুলে ধরেননি, বরং বাংলাদেশের অস্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছেন।

 

এটি বাংলাদেশের সরকারের জন্য একটি অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যেখানে একদিকে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে ন্যায় এবং মর্যাদা প্রত্যাশা করে, অন্যদিকে ভারত এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে একপেশে ভাবনা দিয়ে চিহ্নিত করছে। আসল সত্য হলো, ভারতের বাহিনী আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে সহযোগিতা করেছিল, কিন্তু এটি বাংলাদেশের জনগণের নিরন্তর সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের ফলস্বরূপ অর্জিত স্বাধীনতার পরিপূরক ছিল।

 

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হতে পারে, যেখানে দেশটির ইতিহাস এবং সংগ্রামকেই যথাযথ সম্মান এবং সম্মান দেওয়া উচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিজয় নয়, এটি একটি জাতির গৌরব এবং আত্মমর্যাদার সংগ্রাম ছিল। অতএব, বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ তাদের ইতিহাস এবং মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা নিয়ে আরও দৃঢ় অবস্থান নিতে পারে।