কাকদ্বীপের ৬টি ট্রলার আটক, বাংলাদেশের জেলে ৯৫ মৎস্যজীবী, পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের

বাংলাদেশে (Bangladesh) আটকে থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (fishermen) পরিবারগুলোর জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দফতর থেকে তৎপরতা (action)…

Kakdwip fishermen Bangladesh

বাংলাদেশে (Bangladesh) আটকে থাকা ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (fishermen) পরিবারগুলোর জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দফতর থেকে তৎপরতা (action) শুরু হয়েছে। কাকদ্বীপের (Kakdwip) ছয়টি (6) ট্রলার যেগুলো বাংলাদেশ উপকূল রক্ষা বাহিনী আটক করেছে, তার সঙ্গে একযোগে ৯৫ (95) জন মৎস্যজীবীকে (Fishermen) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনা গত প্রায় দু’মাস ধরে চলছে এবং এই সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীদের পরিবাররা একাধিক সমস্যায় পড়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (fishermen) দেশে ফেরাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন। বিশেষত, কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী দফতর এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নেয়। পরিবারের সদস্যদের কী পরিস্থিতি, তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন, এ সবই খতিয়ে দেখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা মৎস্যজীবীদের পরিবারগুলির পাশে রয়েছে এবং এই দুঃখের মুহূর্তে প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে তাদের সমর্থন করবে।

   

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৎপরতায়, ইতিমধ্যেই পিএমও (প্রধানমন্ত্রীর দফতর)-এ যোগাযোগ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে মৎস্যজীবীদের (fishermen) ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন হবে, সেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, বাংলাদেশে আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের ভারতে ফেরানোর জন্য বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু হয়েছে।

মৌলিক প্রশ্ন হচ্ছে, মৎস্যজীবীদের (fishermen) পরিবারের সদস্যরা কতটা তীব্র কষ্টে আছেন। বেশিরভাগ মৎস্যজীবীর পরিবার আর্থিক দিক থেকে সংকটের মধ্যে পড়েছে। অনেকে জমি বিক্রি করছেন, কেউ ঋণ নিচ্ছেন, আবার কেউ বিক্রি করছেন নিজেদের জীবনের ছোট ছোট সঞ্চিত সম্পদ। কারণ, তাদের আয়ের একমাত্র উৎস ছিল মাছ ধরা, কিন্তু সেই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের পরিবারের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এছাড়া, মৎস্যজীবীদের (fishermen) পরিবারের সদস্যরা ভীষণ মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন। তারা জানেন না তাঁদের প্রিয়জনেরা কবে ঘরে ফিরবেন। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করার পর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)উদ্যোগে কিছুটা আশার আলো দেখা দিয়েছে। বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতর থেকে ফোন এসেছিল, এবং আমাদের জানানো হয়েছে যে, মৎস্যজীবীদের ফেরত আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, পরিবারগুলির পাশে প্রশাসন রয়েছে এবং শীঘ্রই তারা তাদের প্রিয়জনদের ফিরে পাবে।”

এই পদক্ষেপের ফলে, মৎস্যজীবীদের (fishermen)পরিবারগুলো এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে। তবে, তাঁদের মাঝে আবার আশঙ্কাও রয়েছে। তারা জানেন না, এই প্রক্রিয়া কতটা সময় নেবে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রীর সাহায্যে তাদের দুঃখ-কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে, এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।

এদিকে, এই ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে। কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীদের আটক করার পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। তবে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে, এই সমস্যা সমাধানের পথে কাজ চলছে। বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে এবং দুই দেশের মধ্যে মৎস্যজীবীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

এছাড়া, ভবিষ্যতে মৎস্যজীবীদের (fishermen) সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কাকদ্বীপসহ অন্যান্য সমুদ্রবন্দর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় আছে। মৎস্যজীবীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি, তাদের আইনগত অধিকার এবং সীমান্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো সুনিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।

এই মুহূর্তে, মৎস্যজীবীদের (fishermen) পরিবাররা অপেক্ষা করছেন তাঁদের প্রিয়জনরা কবে ঘরে ফিরবে, আর সেই স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছেন তারা। তাদের এই কঠিন সময়ে প্রশাসনের সহানুভূতি ও মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার যে ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে তাদের প্রত্যাশা, খুব শীঘ্রই তাদের স্বজনরা ফিরে আসবে এবং আবার স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে।