নয়াদিল্লি: অন্তর্জালের পরতে পরতে বিছানো প্রতারণার জাল৷ ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা-পয়সা লুঠ করার ঘটনা এখন আকছাড়৷ নেট দুনিয়ায় যত রকম প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে, তার মধ্যে এটি অন্যতম৷ সেলিব্রিটি থেকে সরকারি আমলা, বিভিন্ন সময় তাঁদের নামে ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতি হয়েছে৷ এবার প্রতারকদের হাতিয়ার খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু৷ তাঁর নাম ব্যবহার করে খোলা হল ফেক প্রোফাইল৷ এই খবর সামনে আসতেই শোরগোল ঝাড়খণ্ডে।
ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের বাসিন্দা মন্টু সোনি৷ সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর কাছে একটি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসে৷ প্রোফাইলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি৷ সেখানে দেওয়া তথ্যও হুবহু এক৷ এই প্রোফাইলটা দেখামাত্রই সন্দেহ হয়েছিল তাঁর৷ তবুও প্রতারকদের বোকা বানাতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে নেন তিনি৷ সেই সঙ্গে মেসেঞ্জারে একটি মেসেজও পাঠান৷ ফেক ‘প্রেসিডেন্ট’-এর প্রোফাইলে গিয়ে লেখেন, ‘জয় হিন্দ, কেমন আছেন?’ একটু কথাবার্তা এগোতেই প্রতারকের কাছ থেকে মেসেজ আসে, ‘আপনার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরটা বলুন৷’ প্রতারক লেখেন, ‘আমি খুব কম ফেসবুক ব্যবহার করি, আমাকে আপনার হোয়াটস অ্যাপ নম্বরটা বলুন৷’
বিষয়টা কোন দিকে এগোচ্ছে, তা আঁচ করে নিয়েছিলেন মন্টু৷ তবুও তিনি নিজের নম্বর ‘ফেক প্রেসিডেন্ট’কে জানিয়ে দেন৷ এর পরেই পাল্টা মেসেজ আসে মন্টুর ফেসবুক মেসেঞ্জারে৷ তাঁকে জানানো হয়, ‘আমরা আপনার নম্বরটি সেভ করেছি ৷ আপনাকে একটি কোড পাঠানো হয়েছে। যা আপনার হোয়াটসঅ্যাপে চলে গিয়েছে। দয়া করে আমাদের দ্রুত কোডটি জানান; এটি একটি ৬ সংখ্যার কোড।’’ এর পরেই মন্টুর কাছে পুরো বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়৷ এই ঘটনার কথা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস করে দেন৷ রাষ্ট্রপতি ভবন, ঝাড়খণ্ড পুলিশ এবং অন্যদের ট্যাগ করেছেন টুইট করেন তিনি৷ নড়েচড়ে বসে রাঁচি পুলিশ৷ ফেসবুক পোস্টের খতিয়ে দেখেন তাঁরা৷ শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত৷