চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু (Bangladesh)এখনও জেলবন্দি, এবং তাঁর জামিন মামলার শুনানি (Bangladesh) আগামী ২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। জামিনের (Bangladesh)আর্জি নিয়ে আদালতে আরও একবার লড়াই করতে প্রস্তুত তাঁর আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। রবীন্দ্র ঘোষ তাঁর এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।’’ তিনি জানান, ভারতে এসে চিন্ময়কৃষ্ণ (Bangladesh)প্রভুর জামিন মামলা এবং তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করার জন্য নতুন কৌশল সাজাচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে, আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছেন এবং বাংলাদেশে (Bangladesh) ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রবীন্দ্র ঘোষের মতে, বাংলাদেশের (Bangladesh)বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং বিপজ্জনক। তিনি বলেন, ‘‘চট্টগ্রামে গিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর পক্ষে লড়াই করতে হচ্ছিল, কারণ সেখানে কেউ দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না।’’ তিনি আরও জানান, সেখানে বেশ কিছু মামলা দেওয়া হয়েছে, যা জামিন অযোগ্য এবং এক আইনজীবী খুন হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তও চলছে, যদিও প্রশাসন একাধিক আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পূর্বে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে অদ্ভুত কারণে রবীন্দ্র ঘোষের জামিনের আবেদন বাতিল হয়ে যায়। তিনি যখন আদালতে পৌঁছেছিলেন, তখন সেখানে ৫০ জন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। বিচারক যুক্তি দেখান যে, যেহেতু রবীন্দ্র ঘোষ ঢাকায় প্র্যাকটিস করেন এবং চট্টগ্রামে প্র্যাকটিস করেন না, তিনি সওয়াল করতে পারবেন না। এই কারণে জামিনের শুনানি পিছিয়ে যায়।
আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ আরও জানান, তিনি চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে দেখতে ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ প্রিজন্স থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন, তবে প্রথমে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি প্রভুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু যখন আমাকে দেখেন, তখন তার চোখে জল এসে যায়। তিনি আমাকে বলেছিলেন, ‘বাবা কেমন আছেন?’ আমি বললাম, আপনি কেমন আছেন? তারপর তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন।’’
রবীন্দ্র ঘোষ আরও বলেন, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু জেলে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু একেবারে একা নন, আরও দুজন সাধু গ্রেফতার হয়েছেন। তবে, তাঁর সঙ্গে যে ছবি তোলা হয়েছিল, সেটি তিনি ডেপুটি জেলারকে দিলেও, সেটা পাঠানো হয়নি।
আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ জানান, তাঁকে চার ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এই সময়, চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর সঙ্গে যা কিছু কথা হয়েছে, তা জেল কর্তৃপক্ষ রেকর্ড করছে, যা একেবারে অগ্রহণযোগ্য বলে তিনি মনে করেন। তবে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং ২ জানুয়ারি আদালতে আবার একবার তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর মৃত্যু ভয় নিয়ে আমাদের কিছু করা উচিত, কারণ এটা একটা গুরুতর আইনগত বিষয়।’’
এখনও পর্যন্ত অনেক কিছুই অজানা, তবে রবীন্দ্র ঘোষ আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর কৌশল সফল হবে এবং তাঁর ক্লায়েন্টকে ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।