বাংলাদেশকে ইঙ্গিতপূর্ণ কূটনৈতিক বার্তা ভারতের (India)। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ভারতীয় সেনাবাহিনীর (Indian Army) একটি ঐতিহাসিক জয়, যা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বৃহত্তম সামরিক বিজয়ের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তা এখন আর সেনাবাহিনীর প্রধানের অফিসে নেই। ঢাকা শহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ চুক্তিতে সই করার ঐতিহাসিক দৃশ্য, যা একটি আইকনিক ফটোগ্রাফ হিসেবে পরিচিত, একটি পেইন্টিং আকারে দীর্ঘকাল ধরে সেনাবাহিনীর প্রধানের অফিসে টাঙানো ছিল। এবার সেই ছবি সরিয়ে দিয়ে কার্যত ঢাকাকে কূটনৈতিক বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
নেহরুর লেখা ব্যক্তিগত চিঠি ফিরিয়ে দিন, রাহুলের কাছে আর্জি ‘প্রধানমন্ত্রী সংগ্রহশালার’
পরিবর্তিত বাংলাদেশে এই চলমান হিংসার আবহে চিন-পাকিস্তানের সঙ্গে বিএনপির সখ্যতা গলার কাঁটা হয়ে উঠছে সাউথ ব্লকের কাছে। সুতরাং তার জন্য পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিন্তা ভাবনা করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তবে সেটা কূটনৈতিক না অর্থনৈতিক এখনও স্পষ্ট করেনি নয়াদিল্লি। তবে কূটনৈতিক পথে সমস্য মোকাবিলার জন্যই ভারত পা বাড়াবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কারণ অন্যথা ছোট্ট ও দুর্বল রাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ভারত চায় না বলেই আশঙ্কা কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
মহাকাশের পর এবার সমুদ্রগর্ভে, ভারত মহাসাগরের গভীরে অভিযানে NIOT
১৯৭১ সালের যুদ্ধ ভারতের জন্য একটি গর্বের অধ্যায় ছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের পর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়, এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সামরিক শক্তি ও কৌশলিক দক্ষতার মাধ্যমে এক ঐতিহাসিক জয় অর্জন করেছিল। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনাপ্রধান ইয়াহিয়া খান এবং তাদের সেনাবাহিনীর অন্যান্য শীর্ষ কমান্ডারের কাছে আত্মসমর্পণ পত্রে সই করার দৃশ্যটি ইতিহাসে চিরকাল ধরে থাকবে।
ভারতে ফিরে হুঙ্কার চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ
তবে এক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতার জের কিংবা নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে চিন-পাকিস্তানের ঘনিষ্টতা কোনদিকে মোড় নেয়। সেদিকে তাকিয়ে রয়ে সাউথব্লক। তা যদি ২০০০-২০০৮ তৎকালীন সময়কাল বিএনপি (BNP) যুগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়ে হয়তো পিছুপা হবেনা নয়াদিল্লি।
এমন পরিস্থিতিতে সেই ঐতিহাসিক গুরুত্ব বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ। তারই প্রেক্ষিতে এই ছবি সরানো যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।