Kolkata Metro: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই চালু হচ্ছে এয়ারপোর্ট মেট্রো

কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ইয়েলো লাইনে নতুন দিক উন্মোচন হতে চলেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে ট্রায়াল রান, যা কলকাতা মেট্রো রেল ব্যবস্থায়…

Metro rail trial run start within fortieight hours Airport Metro service

কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) ইয়েলো লাইনে নতুন দিক উন্মোচন হতে চলেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে ট্রায়াল রান, যা কলকাতা মেট্রো রেল ব্যবস্থায় এক নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। মেট্রোর ট্রায়াল রানটি দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে এয়ারপোর্ট (Kolkata Airport) স্টেশন পর্যন্ত চালানো হবে। এটি কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ার অংশ, যা নগরবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থা আরও উন্নত করতে সহায়ক হবে।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশজুড়ে ‘নৈরাজ্য’, ইউনূসকে আক্রমণ হাসিনা-পুত্রের

   

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রায়াল রানটি মূলত নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার অংশে পরিচালিত হবে। এই অংশের জন্য ইতিমধ্যে সিআরএস (কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটি) থেকে অনুমোদনও মিলেছে। আগামী দিনে এই অংশে নিয়মিত পরিষেবা চালু হবে এবং কলকাতার বাসিন্দারা দ্রুত এবং নিরাপদ যাতায়াতের সুবিধা পাবেন। 

কলকাতা মেট্রোর ইয়েলো লাইনের এই নতুন অংশের উদ্বোধন আগামী মার্চের মধ্যে করার পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে নোয়াপাড়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশের মধ্যে সাত কিলোমিটার অংশে মেট্রো পরিষেবা চালু হবে। এই ৭ কিলোমিটার অংশে রয়েছে চারটি স্টেশন— নোয়াপাড়া, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং এয়ারপোর্ট (জয় হিন্দ)। বিশেষভাবে, যশোর রোড এবং এয়ারপোর্ট স্টেশনটি মাটির নিচে তৈরি করা হয়েছে, যা মেট্রোর প্রকল্পের আধুনিকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সপ্তাহান্তে হীরের চাহিদার মধ্যে কলকাতায় কত দামে বিকোচ্ছে এই মূল্যবান ধাতু?

নতুন এই মেট্রো লাইনের উদ্বোধন কলকাতা শহরের গণপরিবহণ ব্যবস্থা আরও গতিশীল করবে। কলকাতার বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকা, যেখানে প্রচুর যাত্রী আসা-যাওয়া করেন, সেখানে মেট্রো পরিষেবা চালু হওয়ায় নাগরিকদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। এর ফলে বিমানবন্দরের দিকে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুত এবং আরামদায়কভাবে পৌঁছাতে পারবেন, যা সড়কপথের জ্যাম এড়িয়ে তাদের সময় বাঁচাবে।

এই ট্রায়াল রান এবং পরবর্তীতে পরিষেবা চালু হওয়ার পরে, কলকাতার মেট্রো পরিষেবায় আরও একধাপ উন্নতি হবে। সুতরাং, শুধু বিমানবন্দর এলাকার মানুষ নয়, পুরো শহরের বাসিন্দাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হয়ে উঠবে। বিশেষ করে যশোর রোড এবং এয়ারপোর্ট স্টেশন মাটির নিচে হওয়ায়, ট্রাফিক congestion এবং পরিবেশগত দিক থেকেও এই লাইনের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাবে।

ব্যর্থ সিবিআই, নিজাম প্যালেস ঘেরাও কংগ্রেসের

পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মার্চে এই নতুন মেট্রো লাইনের পুরো অংশটি চালু হলে, শহরের পূর্ব এবং দক্ষিণ অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। বিশেষত, বিমানবন্দর এলাকায় যাতায়াতকারী যাত্রীরা এই পরিষেবা ব্যবহার করে দ্রুত তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন। এটি কলকাতা শহরের পরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও পরিবেশবান্ধব এবং টেকসই করে তুলবে।

এখনই বলে দেওয়া যাচ্ছে না, পুরো লাইন চালু হলে কতটা দ্রুত মেট্রো চলবে, তবে আশা করা যাচ্ছে যে এটি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য যাতায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হয়ে উঠবে।