বাংলাদেশকে ‘কুকুর’ বলে কটাক্ষ দিলীপের

জলপাইগুড়ি: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরগরম এপাড় বাংলার রাজনৈতিক মহল৷ বাংলাদেশ কলকাতা দখলের হুমকি দিতেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঝাঁঝাল আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক-বিরোধী দলের…

dilip-bangladesh

short-samachar

জলপাইগুড়ি: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সরগরম এপাড় বাংলার রাজনৈতিক মহল৷ বাংলাদেশ কলকাতা দখলের হুমকি দিতেই পাল্টা জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঝাঁঝাল আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক-বিরোধী দলের নেতারাও৷ এবার বাংলাদেশ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ৷ কড়া ভাষায় বিঁধলেন বাংলাদেশকে৷  জলপাইগুড়িতে ‘চায়ে পে চর্চা’য় যোগ দিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘‘লড়াইটা সমানে সমানে হয়৷ সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই হয় না।’’ 

   

বিজপি’র সদস্য সংগ্রহ অভিযানে শুক্রবার জলপাইগুড়ির বিভিন্ন প্রান্তে যাবেন দিলীপ। সকাল সকালই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বাবু পাড়ার এক চায়ের দোকানে৷ সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে প্রশ্ন করলে দিলীপ বলেন, ‘‘ওদের দেশে কোনও সামরিক বিভাগ নেই। চুরি করে ভারতবর্ষে ঢুকে খায়। আর নেতারা মিডিয়াতে থাকার জন্য বড়বড় বুলি আওরান। ভারত থেকে ওষুধ, জল বন্ধ করে দিলে তো না খেয়ে মরবে।’’ এখানেই থামেননি বিজেপি নেতা৷ আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তানকে যে দেশ নাকে খত দেওয়াতে পারে তার কাছে বাংলাদেশ নাস্তা। ওদের জন্য আওয়াজই যথেষ্ট। ভিখিরিদের আশ্রয় ফুটপাতেই হয়৷’’

এই উত্তপ্ত পরিস্থিততে বাংলাদেশ সীমান্ত সিল করা  নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রাক্তন সাংসদ৷ এই ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র বর্ডার সিল করতে চাইলেও, রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না৷  

তৃণমূল সরকারকে একহাত নিয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘সিরিয়ার ঘটনা দেখে কিছু বোঝার চেষ্টা করুন৷ গাজায় বোমা পড়লেও মিছিল হয়, অথচ ওপার বাংলার হিন্দুদের নিয়ে মিছিল করার হিম্মত নেই তৃণমূলের।’’

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলাদেশ৷ চারিদিকে কট্টরপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত৷ ‘চার দিনে কলকাতা দখলের’ হুঁশিয়ারি দিয়ে হাওয়া গরম করেছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের বেগে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। হুমকি এখানেই শেষ নয়৷ আরও একধাপ এগিয়ে ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি। বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।’ যদিও বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই সব হুঙ্কারের পাল্টা জবাব দিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷