বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষ (Atul Subhash) স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অতুলের মৃত্যুর পর তার পরিবারের কাছে একটি বিদায়ী ভিডিও এবং ২৪ পাতার সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে, যেখানে তার স্ত্রীর, নিকিতা সিংহানিয়া, এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন অতুল।
মন্দির-মসজিদে সমীক্ষা নয়! স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হবে না নতুন মামলাও
সুইসাইড নোটে অতুল জানিয়েছে যে, স্ত্রীর অত্যাচারের কারণে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, যা তাকে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
অতুলের পরিবারের দাবি, নিকিতা এবং তার পরিবারের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে অতুলকে মানসিকভাবে অত্যাচার করে আসছিলেন। তাদের মতে, এই অত্যাচার এবং বিবাহবিচ্ছেদের মামলা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। অতুলের দাদা, বিকাশ কুমার, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন, “আমি চাই আমার ভাই ন্যায়বিচার পাক। দেশে এমন আইন থাকা উচিত, যার মাধ্যমে পুরুষরাও ন্যায়বিচার পেতে পারেন। বিচারকেরা যদি আইনি আসনে বসে দুর্নীতি করেন, তবে দেশের মানুষ কার কাছে বিচার চাইবে?”
‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি নিয়ে কেন্দ্রকে খোঁচা মমতার
বিকাশের এই মন্তব্য দেশের আইন ব্যবস্থায় পুরুষদেরও সঠিক সুরক্ষা পাওয়ার দাবি তুলে ধরছে। তিনি আরও বলেন, যে ধরনের অত্যাচার অতুল সহ্য করেছেন, সে বিষয়ে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, যা তাকে আত্মহত্যার মতো চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
Reporters Without Borders: চলতি বছরে ৫৪ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইজরায়েল, পাকিস্তান, তালিকায় বাংলাদেশও
অতুলের দাদা, বিকাশ কুমার, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন, “আমি চাই আমার ভাই ন্যায়বিচার পাক। দেশে এমন আইন থাকা উচিত, যার মাধ্যমে পুরুষরাও ন্যায়বিচার পেতে পারেন। বিচারকেরা আইনি আসনে বসে দুর্নীতি করলে, দেশের মানুষ কার কাছে বিচার চাইবে?”
বিকাশের এই মন্তব্য দেশের আইনি ব্যবস্থার প্রতি এক বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, পুরুষদেরও আইনি সহায়তা এবং সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে, বিশেষ করে যখন তারা শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। তিনি আরও বলেন, অতুলের মতো অনেক পুরুষ পারিবারিক এবং আইনি মামলা ও অত্যাচারের শিকার হন, কিন্তু আইনি সহায়তা না পাওয়ার ফলে তারা অনেক সময় এমন মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।