১৫ ডিসেম্বর তথা আগামী রবিবার শীতের সকাল কলকাতাবাসীর জন্য হবে বিশেষ একটি দিন। কারণ, এই দিনেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫ কিলোমিটার (Tata Steel World 25K ) কলকাতা ম্যারাথন (Kolkata Marathon)। শহরের ঐতিহাসিক রেড রোড (Red Road) থেকে শুরু হবে এই ম্যারাথন (Marathon), যা হবে বিশ্বের প্রথম ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিকস গোল্ড লেবেল ২৫ কিলোমিটার রেস। এইদিন ‘সিটি অফ জয়ের’ রাস্তায় দৌড়াতে দেখা যাবে বিশ্বমানের অ্যাথলেটদের। এছাড়াও এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করবেন ২০,৫৩৭ জন প্রতিযোগী, যা এই প্রতিযোগিতার এক নতুন মাইলফলক হিসেবে পরিচিত হবে। ম্যারাথনের কারণে শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের (Kolkata Traffic Police) পক্ষ থেকে যান নিয়ন্ত্রণ (Road Block) করা হবে কলকাতার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতে।
বিদেশি নয়, রসগোল্লার লড়াইয়ে অস্কারের ভরসা ভারতীয়রা?
কলকাতা মেয়র পরিষদ দেবাশীষ কুমার বলেন, “এই ম্যারাথন কলকাতাকে আরও প্রাণবন্ত এবং আন্তর্জাতিক মানে পরিচিত করে তুলেছে। প্রথমে ৪০০০ জনের মধ্যে শুরু হওয়া এই দৌড় এখন ২০,৫০০ এরও বেশি প্রতিযোগী নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে, যা তার বিশাল সাফল্যের প্রমাণ। তাই আমি আয়োজক সংস্থা টাটা স্টিল এবং প্রোক্যাম ইন্টারন্যাশনালকে তাঁদের অসাধারণ প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”
টাটা স্টিল ওয়ার্ল্ড ২৫কিমি ম্যারাথন শহর তিলোত্তমার বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানগুলো দিয়ে যাবে। ফলে শহরের সাধারণ নাগরিকদেরও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। এই ম্যারাথন ছুটির দিন রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ট্রাফিকের চাপ কম থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রুট : ম্যারাথনের হোল্ডিং এরিয়া (রেঞ্জার্স গ্রাউন্ড), ম্যারাথন শুরু হবে রেড রোডের মোহামেডান স্পোর্টিং গ্রাউন্ডের সামনে থেকে। এরপর খিদিরপুর রোড ধরে, হেস্টিংস ক্রসিং, স্ট. জর্জেস গেট রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, কিংসওয়ে, মেয়ো রোড, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট, গড়িয়াহাট ফ্লাইওভার, গোলপার্ক, শ্যামাপ্রসাদ মুখাৰ্জী রোড, ক্সাইড ক্রসিং, হেস্টিংস ক্রসিং, হাসপাতাল রোড, কুইন্সওয়ে, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউ ধরে পুনরায় ম্যারাথন শেষ হবে রেড রোডে।
কেরালা ব্লাস্টার্সের এই তরুণ মিডফিল্ডারের দিকে নজর গোকুলামের
এই রুটটি কলকাতার বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থানে দিয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে পার্ক স্ট্রিট, মেয়ো রোড, এক্সাইড, কুইন্সওয়ে এবং খিদিরপুর রোডসহ আরও বহু জায়গায়, যা শহরের এক অনন্য সৌন্দর্য উপস্থাপন করবে।
এই দৌড় প্রতিযোগিতা শুধু একটি খেলা নয়, উন্নতি এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার প্রতীকও। এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মানুষ শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে পারে এবং দৌড়ের মতো শারীরিক কার্যকলাপে মনোযোগী হয়ে উঠে। তাছাড়া, এটি বিশ্বের অন্যান্য শহরের সঙ্গে কলকাতাকে তুলনা করার সুযোগও সৃষ্টি করে।
এই ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্টগুলি শুধু দৌড়বিদদের জন্য নয়, বরং সমগ্র শহরের জন্য একটি উৎসাহের উৎস। কলকাতা, তার বিশাল ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির পাশাপাশি, এমন এক শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে যা বিশ্বমঞ্চে প্রভাব ফেলতে সক্ষম।