মেটা-অ্যাপ্লিকেশন ডাউন, টুইটার-এ জুকারবার্গকে ঘিরে হাস্যকর মিম এবং ট্রোলের বন্যা

বুধবার রাতে সারা বিশ্বজুড়ে একসঙ্গে প্রযুক্তিগত ত্রুটির (Server Down) সস্মুখীন হল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন। গতকাল রাত ১০:৫৮ নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেটা-অধীন জনপ্রিয় সোশ্যাল…

Meta-Application Server Down, Twitter Flooded with Hilarious Memes and Trolls Surrounding Zuckerberg

বুধবার রাতে সারা বিশ্বজুড়ে একসঙ্গে প্রযুক্তিগত ত্রুটির (Server Down) সস্মুখীন হল বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন। গতকাল রাত ১০:৫৮ নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মেটা-অধীন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলো যেমন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ একসঙ্গে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারী সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। এই আউটেজের ফলে নেটমাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রমে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে এবং ব্যবহারকারীরা অনেকটা সময় পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রবেশ করতে পারছিলেন না।

বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা যেমন মেসেজ পাঠানো এবং গ্রহণ করতে পারছিলেন না ঠিক সেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ, পোস্ট এবং আপডেটের অ্যাক্সেস একেবারেই খুব ধীরগতিতে কাজ করছিল। বিশেষ করে, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা মেসেজ পাঠাতে বা গ্রহণ করতে অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। আউটেজ ট্র্যাকিং সাইট ডাউন্ডেটেক্টর (Downdetector) জানিয়েছে, এই সমস্যা মেটা-অধীন বেশ কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশনকে প্রভাবিত করছে।

   

নতুন বছরে নতুন বাইক! টিভিএস আনছে 300cc অ্যাডভেঞ্চার মডেল

যার মধ্যে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস রয়েছে। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামেই এককভাবে ৩০,০০০-এর বেশি রিপোর্ট জমা পড়েছে, যা প্রমাণ করে যে এই আউটেজটি পৃথিবীর নানা কোণে ব্যবহারকারীদের প্রভাবিত করছে। ডাউন্ডেটেক্টর জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামের ৬৮ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপের মাধ্যমে কোনো কিছু অ্যাক্সেস করতে পারছেন না। ২১ শতাংশ ব্যবহারকারী লগইন করতে পারছেন না এবং ১১ শতাংশ ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সমস্যায় পড়ছেন।

একইভাবে হোয়াটসঅ্যাপের ৮৯ শতাংশ ব্যবহারকারী মেসেজ পাঠাতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন এবং ৯ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপের সমস্যার সন্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি ২ শতাংশ ব্যবহারকারী ভয়েস কল সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েছিলেন। ফেসবুকেরও প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যবহারকারী অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারছিলেন না এবং ৩৪ শতাংশ ব্যবহারকারী লগইন সমস্যায় ভুগছেন। বাকি ব্যবহারকারীরা অন্যান্য ফিচারের মধ্যে সমস্যায় পড়েছেন।

অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতে ময়দানে অসম প্রশাসন

এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাকিং সাইটে এ ধরনের রিপোর্টের সংখ্যা দেখে ধারণা করা হচ্ছে যে এই আউটেজ শুধু এক দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই একযোগে ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে, একদিকে মেটা অ্যাপসের সমস্যা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে চিন্তা বাড়ছিল অন্যদিকে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডেলে এই বিষয়টি নিয়ে অনেকে মজা করে অনেককিছু পোস্ট করেছেন। ব্যবহারকারীরা নানা ধরনের মিম তৈরী করে এই সমস্যা নিয়ে সেখানে তাঁদের নানান প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

দেখা যাচ্ছে, এক্স-এ ট্রেন্ডিং ট্যাগের মধ্যে “হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন”, “ইনস্টাগ্রাম ডাউন” এবং “ফেসবুক ডাউন” অন্যতম হয়ে উঠেছে। এক্স হ্যান্ডেলে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ইলন মাস্ক ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামকে এমনভাবে নষ্ট করছে যাতে সবাই আবার টুইটারে ফিরে আসে।” অন্য একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপ ডাউন? আমাদের মতো সবাই এক্স-এ চলে এসেছে।”

একদল মিম পোস্ট করেছেন, “সবাই একযোগে ‘ইনস্টাগ্রাম ডাউন কি না’ জানাতে টুইট করার চেষ্টা করছে, যাতে ইনস্টাগ্রাম ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করতে হয়।” আরেকটি মজাদার পোস্টে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ইনস্টাগ্রাম আবার ডাউন? নিশ্চয়ই এটি জাকারবার্গের মাস্টারপ্ল্যান, যাতে মেটাভার্সকে ভাল একটি বিনিয়োগ হিসেবে দেখানো যায়। প্রথমে বেসিকগুলো ঠিক করো, জুক! অথবা এটা শুধু একটি ‘মেটা’ উপায় হতে পারে, যার মাধ্যমে তুমি বাস্তবতার সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছ।”

এখনও পর্যন্ত মেটা-অধীন অ্যাপগুলির এই বিপর্যয়ের কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেনি মেটা। তবে এটা স্পষ্ট যে এই ধরনের আউটেজ বিশ্বব্যাপী মেটা ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে। আশা করা হচ্ছে, খুব শীগ্রই মেটা এ ধরণের সমস্যার সমাধান করবে যাতে ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীদের আর এ ধরণের সমস্যার সন্মুখীন হতে না হয়।

এমন পরিস্থিতি থেকে এটা পরিষ্কার যে, যতদিন যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার উপর আমাদের নির্ভরশীলতা ততটাই বাড়ছে এবং তাই যখন এ ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয় কিংবা এই অ্যাপগুলো অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধ হয়ে যায়, তখন বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনযাত্রার উপর তা গভীর প্রভাব ফেলে। আর তা গতকালের ঘটনা থেকে প্রমাণিত।

Server Down: On Wednesday night, users worldwide faced a technical glitch (Server Down) as several popular social media apps went offline simultaneously. At 10:58 PM, Meta-owned platforms like Instagram, Facebook, and WhatsApp experienced a massive outage, leaving millions of users unable to access or use the apps for an extended period. This disruption caused major issues in social media activities, with many users unable to log in or interact with the platforms.