যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকার সম্ভলে আইন-শৃঙ্খলা এবং অনিয়ম দূরীকরণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ চুরি এবং বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে ব্যাপক অভিযান। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় প্রতি বছর প্রায় ১৩-১৪ কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরি হয়ে থাকে, যা বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য একটি বড় সমস্যা।
বিদ্যুৎ বিভাগের চ্যালেঞ্জ
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু অঞ্চলে বেআইনি সংযোগ এবং বিদ্যুৎ চুরির মাত্রা এতটাই বেশি যে সেসব এলাকায় প্রবেশ করতেও তাঁদের ভয় হত। এই পরিস্থিতি শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে না, বরং সরকারের আয়ের বড় অংশ নষ্ট করছে।
কঠোর অভিযানের সূচনা
যোগী সরকার ((Yogi Adityanath)) এই সমস্যার সমাধানে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হলো সমস্ত বেআইনি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। পাশাপাশি, যাঁরা এই চুরির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বেআইনি দখলের বিরুদ্ধে অভিযান
বিদ্যুৎ চুরির পাশাপাশি এলাকায় বেআইনি দখলদারিত্বও একটি বড় সমস্যা। সরকার এই সমস্ত দখল উচ্ছেদ করার জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে। সমস্ত অনিয়মিত নির্মাণ ও দখল সরিয়ে এলাকাকে স্বাভাবিক এবং সুশৃঙ্খল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
সরকারের বার্তা
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “যোগী সরকার কোনো অনিয়ম বা বেআইনি কাজ বরদাস্ত করবে না। সম্ভলের মানুষকে সহযোগিতা করতে হবে এবং বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। আইন ভাঙলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে।”
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
অভিযানের ফলে সম্ভলের বাসিন্দাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে এর ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং এলাকায় শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে। তবে কিছু মানুষ এই অভিযান নিয়ে অসন্তুষ্ট।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
সরকার আশা করছে যে এই অভিযান সফল হলে বিদ্যুৎ চুরি এবং বেআইনি দখলের মতো সমস্যাগুলি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ বিভাগও তাঁদের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারবে এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পাবেন।
যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপ সম্ভলের মতো এলাকায় একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠিয়েছে। বেআইনি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সরকারের এই দৃঢ় অবস্থান শুধুমাত্র সম্ভল নয়, পুরো উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।