বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বাংলাদেশে (Bangaldesh news) সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র সরকারের কাছে তাদের সুরক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি জানান, যেসব মানুষ বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে তাদের দেশ ছেড়েছে, তাদের পুনরায় ফিরে আসতে সাহায্য করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বাংলাদেশে সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘুদের উপর হামলার খবর সামনে এসেছে।
ইন্ডি জোটের মুখ মমতা! আমরাও তো বলছিলাম: বিস্ফোরক বিজেপির মন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা ছিল—বাংলাদেশে সম্প্রতি যে হিংসা এবং সহিংসতা চলছে, তা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে আরও বেশি অসুরক্ষিত করে তুলছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতা এবং নিপীড়ন বন্ধ হওয়া উচিত। আমরা চাই কেন্দ্র সরকার এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করুক এবং যারা ফিরতে চান, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করুক।”
বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মমতা আরও বলেন, “বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল। গত আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সেখানে হিন্দুদের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা বেড়ে গেছে এবং তাঁদের জীবন রক্ষা করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ।”
এখানে উল্লেখযোগ্য যে, গত কিছু মাসে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা এবং তাদের মন্দিরের ওপর আক্রমণ বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অস্থিরতার কারণে বহু হিন্দু পরিবার বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি ভারতের সহানুভূতি এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি চেষ্টার অংশ।
ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে ঢুকতে পারে বাঘিনী, নজরে বন দফতর
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সহিংসতা এবং নির্যাতনের একটি বড় উদাহরণ হলো গত মাসে এক প্রখ্যাত হিন্দু পুরোহিতকে দেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা। এই গ্রেপ্তারের ঘটনায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, বাংলাদেশ যথাযথভাবে তার হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর, এই বিষয়টি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও গুরুত্ব পাবে, কারণ ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। মমতা বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং নিপীড়ন বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বাংলাদেশের দায়বদ্ধতা আরও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”
মমতার এই বক্তব্যের পর, অনেকেই মনে করছেন যে, ভারত সরকারকে এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিচায়ক নয়, এটি ধর্মীয় স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি ভয়াবহ উদাহরণও। তাই, ভারতীয় সরকারের উচিত তাদের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
উচ্চ মাধ্যমিকে ফার্স্ট ডিভিশন পেলেই স্কুটার দেবে রাজ্য, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়া, মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।