জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে পাঞ্জাবকে নিয়ে খেলল বাংলার মহিলা ফুটবল দল

২৯তম সিনিয়র মহিলাদের জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (Senior Women’s National Football Championship) রাজমাতা জিজাবাই ট্রফির (Rajmata Jijabai Trophy) ফাইনাল রাউন্ডে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal) এবং…

Bengal win National Football Championship against Punjab

২৯তম সিনিয়র মহিলাদের জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ (Senior Women’s National Football Championship) রাজমাতা জিজাবাই ট্রফির (Rajmata Jijabai Trophy) ফাইনাল রাউন্ডে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (Bengal) এবং রেলওয়ে (Railways)। এই দুই দল তাদের প্রথম ম্যাচে যথাক্রমে পাঞ্জাব (Punjab) ও সিকিমকে (Sikkim) পরাজিত করেছে, যার ফলে তারা গ্রুপ বিতে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

মিটল সমস্যা? প্রকাশ্যে এল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি প্রকাশের দিনক্ষণ!

   

বুধবার প্রথম ম্যাচে পাঞ্জাবকে বাংলা দল ৬-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে। এই ম্যাচে বাংলার জন্য এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ভারতের আন্তর্জাতিক ফুটবলার রিম্পা হালদার। তিনি একাই পাঁচটি গোল করেন, যা তাঁর অসাধারণ পারফরম্যান্সের সাক্ষী। ম্যাচের শুরুতেই রিম্পা গোলের খাতা খুলেন ১৪ মিনিটে, আর তার পরের মিনিটেই আবার গোল করেন। দ্বিতীয়ার্ধে তার পারফরম্যান্স আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে, যখন তিনি ৫৬ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। এরপর, ৬৬ ও ৭৭ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন এবং পাঞ্জাবের প্রতিরোধ ভেঙে দেন।

কন্যাশ্রী কাপে খেলবে উত্তরবঙ্গের এই ক্লাব? জানুন

বাংলার অপর গোলটি করেন তানিয়া কানতি, যিনি ৮০ মিনিটে একটি দীর্ঘ শট নিয়ে গোলটি করেন। প্রথমে পাঞ্জাবের গোলরক্ষক দেবিয়া তাঁর শট ব্লক করেছিলেন, তবে ফিরতি বলটি তানিয়ার পায়ে পড়ে এবং তিনি গোলটি করে বাংলাকে গোলের ব্যবধানে বাড়াতে সাহায্য করেন।

দ্বিতীয় ম্যাচে, রেলওয়ে সিকিমের বিরুদ্ধে ৩-২ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে। এই ম্যাচে, রেলওয়ে প্রথমার্ধেই তিনটি গোল করে ম্যাচে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছিল। প্রথম গোলটি আসে মমতা রায়ের কাছ থেকে, যিনি ২৫ মিনিটে একে অপরের সাথে একক লড়াইয়ে সিকিমের গোলরক্ষক গুরমে তামাংকে পরাস্ত করে গোল করেন। দ্বিতীয় গোলটি আসে ৪৩ মিনিটে, যখন সঞ্জু’র কর্নার কিক থেকে মমতা বলটি ফ্লিক করে গোলটি করেন।

কেরালা ম্যাচে ফিরছেন সাহাল! বড় আপডেট বাগান শিবিরের

তৃতীয় গোলটি আসে অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+৩ মিনিট) জবামানি টুডুর হেডারে। প্রথমার্ধের এই তিনটি গোল সিকিমের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সিকিম দ্বিতীয়ার্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং তাঁদের দলের অধিনায়ক এবং স্ট্রাইকার সিমরান গুরুং ৪৭ মিনিটে একটি গোল করে দলের জন্য আশার আলো দেখান। সিমরান তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭১ মিনিটে, একটি কাউন্টার আক্রমণ থেকে। তবে, রেলওয়ে তাদের প্রথমার্ধের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ধরে রেখেই ম্যাচটি ৩-২ ব্যবধানে জয়ী হয়।

গাব্বা টেস্টে রোহিতের কী করণীয় পরামর্শ ভাজ্জির

এই গ্রুপের অন্য দলটি হল হরিয়ানা, যারা পরবর্তীতে এই দুটি দলের সঙ্গে খেলার জন্য প্রস্তুত। তবে, বাংলার এবং রেলওয়ের শক্তিশালী পারফরম্যান্স দলগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতাকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।

ম্যাচ বয়কটের পরিকল্পনা নিয়ে সমর্থকদের ঝাঁঝালো উত্তর মিকেল স্ট্যাহরের

রিম্পা হালদারের পাঁচটি গোল, মমতা রায়ের দ্বৈত গোল এবং জবামানি টুডুর হেডার সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং দলগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। এই রাউন্ডের প্রথম দিনেই যেমন উত্তেজনা ছিল, তেমনি ভবিষ্যতের ম্যাচগুলোও উত্তেজনাপূর্ণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজমাতা জিজাবাই ট্রফি ২০২৪-২৫-এর ফাইনাল রাউন্ডের এভাবে জমজমাট শুরু হয়েছে এবং প্রতিটি দল তাঁদের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।