আগরতলা অভিমুখে বিএনপির পদযাত্রা শুরু, ঢাকায় শুরু সমাবেশ

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংগঠনগুলো বুধবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা শহরের নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে আগরতলা…

BNP Associate Bodies Launch Long March Towards Agartala in Protest

বাংলাদেশ (Bangladesh) জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সহযোগী সংগঠনগুলো বুধবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা শহরের নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে আগরতলা (Bangladesh) অভিযানে যাত্রা শুরু করেছে।

এই দীর্ঘ পদযাত্রার মাধ্যমে তারা ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনের ওপর আক্রমণ, বাংলাদেশের (Bangladesh) জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ভারতের বাংলাদেশে (Bangladesh) আগ্রাসনের প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

   

বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল এই দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা ভারতের কাছে আমাদের স্বাধীনতা সঁপে দেব না।” তিনি আরো বলেন, “ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও, তা বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং শ্রীলঙ্কায় গণতন্ত্র চায় না।” তিনি দাবি করেন, “নতুন দিল্লি তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।”

রুহুল কবির রিজভি ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “ভারত ১৯৭৫ সালে ফ্যাসিবাদী সরকারের সময় বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করেছিল।” তিনি ভারতের এ জাতীয় আগ্রাসনকে আর কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না বলে জানান।

অন্যদিকে, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন বলেন, “যুবদল ভারতীয় ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রস্তুত।” তিনি ভারতের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে আরো বলেন, যুবদল দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সব সময় পাশে থাকবে। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “ভারত তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে, বিশেষ করে আগস্ট ৫ তারিখে শেখ হাসিনা ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার পর।”

এছাড়াও, বক্তারা ভারতীয় মিডিয়ার বিরুদ্ধে একযোগভাবে অভিযোগ করেন। তারা দাবি করেন যে, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে, যা বাংলাদেশের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। বিএনপির নেতারা ভারতীয় মিডিয়া এবং সরকারের কার্যকলাপের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “তারা বাংলাদেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাইছে, যা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না।”

বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর দীর্ঘ পদযাত্রা ঢাকা শহরের নয়া পল্টন এলাকা থেকে শুরু হওয়ায় সেখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল ৭:৪৫টা থেকে ৯:৪৫টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ওই এলাকায় হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী অবস্থান করায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই পদযাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ মিশনের ওপর আক্রমণ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননার ঘটনার প্রতিবাদে।

বিএনপির এই দীর্ঘ পদযাত্রায় দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শামিল হন। তারা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং দাবি করেন যে, ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করছে, যা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য বিপজ্জনক। এই পদযাত্রার মাধ্যমে বিএনপি তার প্রতিবাদ আরো জোরালো করতে চায় এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করতে চায়।

এছাড়া, বিএনপির নেতারা বলেন, যে কোনো ধরনের ভারতীয় আগ্রাসন বা ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না এবং তা প্রতিরোধ করা হবে। নেতারা জানান, তাদের এই পদযাত্রা শুধু একটি প্রতিবাদ নয়, বরং একটি সংকল্প যা দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কাজ করবে।

এছাড়া, তারা বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক যথাযথ ভাবে বজায় রাখতে হবে, কিন্তু ভারতের আগ্রাসী মনোভাব ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত।