১৯৬৪ সালের ১০ই ডিসেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন ছিল বাংলার ফুটবল (Bengal Football) ইতিহাসে, বিশেষ করে মোহনবাগান (Mohun Bagan) ক্লাবের জন্য। এদিন, মোহনবাগান তাঁদের পঞ্চম ডুরান্ড কাপের শিরোপা (5th Durand Cup title) জয় করে। যা ছিল তাঁদের ফুটবল ইতিহাসে এক অমর মুহূর্ত। কলকাতা ময়দানের আরেক প্রধান তথা চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal FC) ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এই শিরোপা জিতেছিল সবুজ-মেরুন শিবির। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে বাগান ক্লাবের ইতিহাসে আরও এক সোনালী অধ্যায় (Golden Moment) যুক্ত হয়েছিল।
দলের সব থেকে ধনী ক্রিকেটার, ক্যাপ্টেন্সি কী সোজা উত্তর তাঁর
On this day in 1964, #Mariners sealed their 5th Durand Cup title defeating East Bengal 2-0 under Chuni Goswami’s captaincy. Ashok Chatterjee and Arumoy scored the goals. Ashim Maullick missed a penalty for East Bengal.
1/n#JoyMohunBagan #MBFT pic.twitter.com/LbQuvfYolb— MBFT : Mohun Bagan (@MBFT89) December 10, 2024
ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচটি ছিল অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। বাগান অধিনায়ক চুনী গোস্বামী (Chuni Goswami) ছিলেন ম্যাচের মূল তারকা। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ফাইনালে নিয়ে আসেন এবং সেই সঙ্গে নিজেই মাঠে উপস্থিত থেকে দলের জন্য অবদান রাখেন। এই ম্যাচে সবুজ মেরুন জার্সি গায়ে গোল করেছিলেন আশোক চট্টোপাধ্যায় এবং অরুময় নাগম।
হারের হ্যাটট্র্রিক করে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কোন পরিকল্পনা? ফাঁস ওয়েন কোয়েলের
ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে আশোক চ্যাটার্জীর পা থেকে। তার গোলটি দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী মশাল ব্রিগেডের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় গোলটি আসে অরুময় নাগমের মাধ্যমে, যেটি বাগানের জয় নিশ্চিত করে। ইস্ট বেঙ্গলের হয়ে অশিম মল্লিক একটি পেনাল্টি মিস করেন, যা তাঁদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
Ashique Kuruniyan : দলের সতীর্থকে নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ বাগান ফুটবলার আশিক কুরুনিয়ান
মোহনবাগান দলের পারফরম্যান্স ছিল দারুণ। গোলরক্ষক প্রাদ্যুত বর্মন এই ম্যাচে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সেভ করেন। ডিফেন্সে ছিল বিক্রমজিৎ দেবনাথ, জর্ণাইল সিংহ, রহমান এবং বি মজুমদার। তাঁরা নিজেদের দায়িত্বে অটুট ছিলেন এবং প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে দিয়েছিলেন। কাম্পিয়াহ, দীপু দাস এবং আমল চক্রবর্তী মিডফিল্ডে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। চুনী গোস্বামী নিজেই মাঠে ছিলেন দলের শিরোনামের শিকারী, তাঁর অধিনায়কত্ব দলের মধ্যে একটি অতিরিক্ত সাহস যোগ করেছিল।
Mohun Bagan team for final:
Pradyut Burman, Vikramjit Debnath, Jarnaill Singh, TA Rehman, B Majumder, Kempiah, Dipu Das (Sheikh Ali), Amal Chakraborty, Ashok Chatterjee, Chuni Goswami and Arumay Naigam.
5/n#JoyMohunBagan #MBFT— MBFT : Mohun Bagan (@MBFT89) December 10, 2024
এই বছর ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান তাঁদের যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৬৪ সালের ২৯শে নভেম্বর শিখ রেজিমেন্টের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে তারা ২-০ গোলের সহজ জয় পায়। এরপর ৫ই ডিসেম্বর তারা ম্যাড্রাস রেজিমেন্টাল সেন্টারের বিরুদ্ধে ৩-০ গোলের বিশাল জয় পায়। পরবর্তী সময়ে তাঁরা ৭ই ডিসেম্বর টাটা স্পোর্টসকে ১-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে পৌঁছায়। তাঁদের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রমাণ করে দেয় যে, মোহনবাগান দল সেই সময়কার ফুটবল দৃশ্যে কতটা শক্তিশালী ছিল।
ওডিশা ম্যাচের আগে লাল-হলুদ শিবিরের নতুন চিন্তা এই স্প্যানিশ ফুটবলার
১৯৬৪ সালের ডুরান্ড কাপ ছিল মোহনবাগান ক্লাবের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, কারণ এটি ছিল তাঁদের পঞ্চম শিরোপা। এই শিরোপা জয় মোহনবাগানের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হয়ে থাকবে, যেহেতু এটি তাঁদের ফুটবল জগতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী পরিচালিত ডুরান্ড কাপের প্রতি এক গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেছিল।