ভারতের রাজ্যসভা চেয়ারম্যান এবং উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) বিরুদ্ধে বিরোধী (INDIA) জোট একটি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে, তার উপরে বিরোধী এমপিদের সঙ্গে বারবার সংঘাতের অভিযোগ তুলে। সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দলের ৭০ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন, যা ভারতীয় রাজনীতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সৃষ্টি করেছে।
হিন্দু নির্যাতন বন্ধ হোক, ঢাকার মাটিতে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের
বিরোধী নেতাদের মধ্যে ক্ষোভের বৃদ্ধি ধনখড়ের রাজ্যসভার কার্যক্রম পরিচালনার ওপর। তাদের মতে, ধনখড়ের ভূমিকা শুধু পক্ষপাতদুষ্ট ছিল না, বরং তিনি বিরোধী এমপিদের প্রতি অসংলগ্ন এবং অপ্রীতিকর আচরণ করেছেন। বিশেষ করে, বিরোধী দলের সদস্যরা অনেক সময় রাজ্যসভায় তাদের বক্তব্য রাখতে গেলে, ধনখড়ের নেতৃত্বে বেশ কিছু সময়ে তাদের ওপর অত্যন্ত কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি রাজ্যসভার কার্যক্রমে প্রভাব ফেলেছে এবং বিরোধী দলের সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে।
বিরোধী INDIA জোটের সদস্যরা, যেমন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), আম আদমি পার্টি (AAP), সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং অন্যান্য দলের নেতারা একযোগভাবে এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তারা মনে করছেন যে, ধনখড়ের আচরণ রাজ্যসভার প্রতিষ্ঠানটির মর্যাদা ক্ষুণ্ন করছে এবং সংসদীয় প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। ভারতীয় সংসদে, বিশেষ করে রাজ্যসভায় যে ধরনের স্বাধীন ও স্বচ্ছ আলোচনা হওয়া উচিত, তা কঠিন হয়ে উঠছে। বিরোধী দলের নেতারা মনে করেন যে, এই পরিস্থিতির জন্য ধনখড়ই দায়ী।
জর্জ সরোসের সঙ্গে সোনিয়া গান্ধীর যোগাযোগ দেশের জন্য উদ্বেগের: রিজিজু
বিরোধীদের অভিযোগ, ধনখড় একাধিকবার রাজ্যসভায় বিরোধী দলগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন এবং তাদের সংসদীয় অধিকার সঠিকভাবে পালন করতে দেননি। বিরোধী দলগুলি বলছে যে, তারা সংসদের কার্যক্রমে অংশ নিতে চায় এবং তাদের মতামত জানাতে চায়, কিন্তু একাধিক বার তাদের সময় সীমিত করা হয়েছে এবং বক্তব্য রাখার সুযোগও যথাযথভাবে দেওয়া হয়নি। এই ধরনের আচরণ সংসদীয় গণতন্ত্রের মূলনীতির বিরোধী বলে তারা উল্লেখ করছেন।
এই অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষরকারী এমপিদের মধ্যে কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), সমাজবাদী পার্টি (SP), আম আদমি পার্টি (AAP) এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সদস্যরা রয়েছেন। এই জোটের দাবি, ধনখড় যদি তার আচরণ পরিবর্তন না করেন এবং সংসদীয় কার্যক্রমে পক্ষপাতিত্ব অব্যাহত রাখেন, তাহলে সংসদীয় কার্যক্রম আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে চলে যাবে।
এদিকে, ধনখড়ের পক্ষ থেকে এখনও এই অভিযোগের কোন স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে তার সমর্থকরা দাবি করছেন যে, তিনি রাজ্যসভায় একটি নিরপেক্ষ ও সুচারু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন। তবে বিরোধী দলগুলির মধ্যে তার উপর অসন্তোষ ও ক্ষোভের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে তার পরিচালনা পদ্ধতি।
প্যান ২.০ ভারতের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য গেম-চেঞ্জার, জানুন বিস্তারিত তথ্য
বিরোধী INDIA জোটের এই পদক্ষেপ ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ধনখড়ের ভবিষ্যত ভূমিকা এই অনাস্থা প্রস্তাবের পরবর্তী ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে, যা দেশের সংসদীয় প্রক্রিয়ার উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে।