বাশর-আল-আসাদ কী বিমান দূর্ঘটনায় মৃত? রাডারে ধরা পড়ছে না প্লেন

সিরিয়ার (Syrian) প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের (Bashar al Asad) ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। খবরে বলা হচ্ছে, তিনি একটি বিমানে চড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, যা হয়তো বিধ্বস্ত…

Bashar Al Assad killed in plane crash speculation arise after syrian aircraft goes disappear in radar

short-samachar

সিরিয়ার (Syrian) প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের (Bashar al Asad) ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। খবরে বলা হচ্ছে, তিনি একটি বিমানে চড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, যা হয়তো বিধ্বস্ত হয়েছে বা গুলি করে নামানো হয়েছে।

   

অনলাইন ফ্লাইট ট্র্যাকিং সেবা Flightradar24-এর তথ্য অনুযায়ী, দামাস্কাস বিমানবন্দর থেকে একটি সিরিয়ান এয়ারের বিমান উড্ডয়ন করে। বিমানটি ছিল একটি ইলিউশিন Il-76T মডেলের এবং এটি প্রথমে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে রওনা দেয়। 

বিরাট চক্রান্ত! চিন্ময় দাসকে আরও মামলায় জড়ালো বাংলাদেশে

তবে, কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে। এটি কিছুক্ষণ বিপরীত দিকে উড়ে হোমস শহরের কাছে পৌঁছানোর পর রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে, যখন বিদ্রোহীরা দাবি করছে যে তারা রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

বিমানটির হঠাৎ দিক পরিবর্তন এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়া নতুন করে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন খবরে বলা হচ্ছে, হয়তো এই বিমানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ছিলেন। কেউ কেউ বলছেন, তিনি পালানোর চেষ্টা করছিলেন। তবে এই তথ্যগুলো এখনো নিশ্চিত নয়।

সিরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু বলেনি, তবে তারা নিজেদের বিজয়ের দাবিতে সোচ্চার। 

চার দিনে কলকাতা দখলের হুমকি বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের

বর্তমানে দামেস্কে তুমুল সংঘর্ষ চলছে। বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে তারা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো দখলে নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট আসাদের রাজধানী ছেড়ে পালানোর চেষ্টা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বিদ্রোহীরা এর আগে জানিয়েছিল, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবার দামেস্ক ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সিরিয়ার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াও নজরকাড়া। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশ কয়েকবার সিরিয়ার সংঘাত থামানোর আহ্বান জানিয়েছে। তারা আসাদ সরকারকে পদত্যাগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

বাশার আল-আসাদ দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ার ক্ষমতায় আছেন। তার সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হত্যাকাণ্ড এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গে তার সেনাবাহিনীর এই সংঘাত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সিরিয়ার গুরুত্বকে বাড়িয়েছে।

বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে কি না বা আসাদ আদৌ এতে ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে যদি আসাদ সত্যিই পালিয়ে থাকেন বা কোনো দুর্ঘটনার শিকার হন, তাহলে সিরিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে।

চার দিনে কলকাতা দখলের হুমকি বাংলাদেশি অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনার সত্যতা যাচাই হলে বিদ্রোহীদের মনোবল আরও শক্তিশালী হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ আসাদ সরকারের উপর আরও বাড়তে পারে।

সিরিয়ার জনগণ বর্তমানে চরম অস্থিরতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আসাদ সরকারের পতন বা স্থায়িত্ব যে কোনো দিকেই পরিস্থিতি জটিল থেকে জটিলতর হতে পারে।