ডোমজুরের (Domjur) পার্বতীপুরে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটেছে যেখানে প্রেমিকা সুমাইয়া খাতুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার প্রেমিক শেখ কাইফের যৌনাঙ্গে আঘাত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে, যখন সুমাইয়া কাইফকে ফোন করে তার বাড়ির পাশে একটি নির্জন বাঁশ বাগানে ডেকে নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সুমাইয়া কাইফকে সেখানে সারপ্রাইজ গিফট দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। সুমাইয়ার নির্দেশে কাইফের চোখ ও হাত বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর সুমাইয়া আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাইফের যৌনাঙ্গে একাধিকবার আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় কাইফকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সুমাইয়ার পরিবারের দাবি, কাইফ দীর্ঘদিন ধরে তাদের মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। এই ঘটনার পেছনে মূল কারণ হিসেবে তারা এই অভিযোগই তুলে ধরেছেন। সুমাইয়ার বাবা-মায়ের মতে, এই উত্ত্যক্তকরণের জেরেই সুমাইয়া এই ধরনের চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। অভিযুক্ত সুমাইয়া খাতুনকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে এবং তার কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশের দাবি, সুমাইয়ার মানসিক স্বাস্থ্যে কিছুটা সমস্যা রয়েছে এবং এটি একটি ক্ষিপ্ত মুহূর্তের ফল হতে পারে।
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এধরনের নির্মম ঘটনার নিন্দা করেছেন। তাদের মতে, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের কোনো ব্যক্তিগত বিবাদ হয়তো এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে।
শেখ কাইফ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হচ্ছে।
এই ঘটনাটি কেবলমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কের সীমাবদ্ধতার একটি উদাহরণ নয়, বরং সমাজে ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ এবং উত্তেজনার ফলস্বরূপ ঘটে যাওয়া এক করুণ অধ্যায়। পুলিশ এই ঘটনার গভীরে গিয়ে তদন্ত করছে, যাতে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পায় এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।