বাংলাদেশের (Bangladesh) পূর্বতন শাসক দল বিএনপি। এই দলটির শাখা সংগঠন ছাত্রদল এবার ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস (Indian High Commission) ঘেরাও কর্মসূচি নিল। বাড়ল দূতাবাসের অভ্যন্তরে আশঙ্কা।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ছাত্রদল সংগঠনটির তরফে জানানো হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।তবে নিরাপত্তা বলয় মজবুত বলেই জানা যাচ্ছে।
ভারতের দূতাবাসে ঢুকবে খালেদা জিয়ার দল: (Fear of attack from BNP rally in front of Indian High Commission)
সংবাদপত্র ‘ইত্তেফাক’ জানাচ্ছে, ছাত্রদল সংগঠনের নেতা জাহাঙ্গীর আলমের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রবিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা হবে।
হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভ ও দূতাবাসে হামলা:
বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস নামে এক বহিষ্কৃত ইসকন সন্ন্যাসীর গ্রেফতার ও তার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলাকালীন চট্টগ্রাম আদালতে সরকারি আইনজীবীকে খুন করা হয়। বাংলাদেশে ইসকন নিষিদ্ধ করার আন্দোলন থেকে সেখানকার হিন্দুরা আক্রান্ত বলে অভিযোগ। এর জেরে ভারতে চলছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের ক্ষোভ মিছিল।
কলকাতায় বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে দেশটির পতাকায় আগুন ধরানো হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশে শুরু হয় ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা। আর বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় হিন্দুত্ববাদীদের বিক্ষোভ থেকে সরাসরি বাংলাদেশের দূতবাসেই হামলা হয়েছিল। যদিও হামলার পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রক দু:খ প্রকাশ করেছে।
ঢাকা-নয়াদিল্লি গরম কূটনৈতিক পরিস্থিতি: (Fear of attack from BNP rally in front of Indian High Commission)
আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলার পরেই বাংলাদেশ সরকার কলকাতা ও আগরতলার দূতাবাসের দায়িত্ব থেকে শীর্ষ দুই কূটনীতিককে ঢাকায় ফিরিয়ে এনেছে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি বৈঠক করে বলেন বন্ধুত্ব থাকবে। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসিরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করবে। এসবের মাঝে বিএনপি দলের ছাত্র ও বিভিন্ন গণসংগঠনের তরফে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে মিছিলেন বার্তা এসেছে।
একনজরে বিএনপি দল:
সেনা বিদ্রোহে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ খুন করা হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে তীব্র ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সেনাকর্তা জিয়াউর রহমান। তিনি ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন নিজেকে সামরিক শাসক থেকে রাজনৈতিক শাসক হিসেবে তুলে ধরতে বিএনপি তথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠা করেন। তাকেও আরও একটি সেনা বিদ্রোহে ১৯৮১ সালে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া বিএনপি দলটির দায়িত্ব নেন। তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
বি়এনপি দলটি বিগত আওয়ামী লীগ জমানায় মূল বিরোধী রাজনৈতিক অবস্থানে থেকেছে। আবার নির্বাচন বয়কট করে প্রধান বিরোধী দলের তকমা বর্জন করে। গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি ফের রাজনীতিতে সক্রিয়।
Chhatra Dal, a branch of the Bangladesh Nationalist Party (BNP), has announced that it will hold a protest march and submit a memorandum to the Indian Embassy in protest of the attack on the Bangladesh Assistant High Commission in Agartala, the insulting of the Bangladesh national flag, and the conspiracy to cause communal riots.