বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা (USA)। শনিবার বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে মার্কিন কংগ্রেস। এদিন ইউনূস সরকারের হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব হন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রাজা কৃষ্ণমূর্তি (Raja Krishnamurti)। সম্প্রতি ইসকনের (ISKCON) সন্ন্যাসী গ্রেফতারির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যত শীঘ্র সম্ভব বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ করে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছে। ইলিনয়েসের এই কংগ্রেস সদস্য শান্তি ফেরানো, নির্যাতন বন্ধ ও গ্রেফতার হওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের সঠিক ও নিরপেক্ষ আইনি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ইউনূস সরকারে কাছে।
মহিলাদের সম্মানরক্ষায় ভারতের জেলে থাকতেও রাজি বাংলাদেশি হিন্দুরা
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের পরিস্থিতি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে ইউনূস প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক হিন্দু নির্যাতন নিয়ে সরব হয়েছিল ব্রিটেনের পার্লামেন্টে। সেখানে শাসক-বিরোধী লেবার ও কনসারভেটিভ পার্টির এমপিরা একযোগে বাংলাদেশের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিরোধী কনসারভেটিভ পার্টির ব্রিটিশ এমপি প্রীতি প্যাটেল (Priti Patel) বলেন, “বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত রুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সরকারকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”
পাকিস্তানের ‘কোলে’ বসেছে ইউনূস! ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিতকরণ করল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রশাসনিক ক্ষমতার অন্যতম মূলস্তম্ভ ছাত্র-যুবকেরা। যাদের অধিকাংশেরই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা নেই। শুধু অন্ধ ভারত বিরোধিতা ও ধর্মান্ধতায় আচ্ছন্ন তারা। আর তাদের চাপে পড়েই অনেকক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন ইউনূস সরকার। যা অজান্তেই বিপদ ও অস্থিরতা ডেকে আনছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে। সুতরাং এরকম চললে আগামীতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পাশাপাশি দেশটি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়বে বলেই মনে করে কূটনৈতিক মহল।
‘হিন্দু-নিধনকারী’ ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নিতে হবে, নোবেল কমিটিতে চিঠি বিজেপি’ সাংসদের
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন-ব্রিটিশ সংসদের এই আলোচনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলের নজর আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ধর্মীয় সহিংসতা এবং সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে পারে।