পশ্চিমবঙ্গে কেরোসিন খরচে বিস্ময়কর বৃদ্ধি, অপব্যবহারের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের

বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ইনচার্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ শাখার কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য এ রাজ্যের কেরোসিন (Kerosene) খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বাংলার কেরোসিন খরচের…

Kerosen consumption sees a remarkable rise in West Bengal, with the Center sending a letter to the state raising concerns over misuse

বিজেপির জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের ইনচার্জ এবং পশ্চিমবঙ্গ শাখার কো-ইনচার্জ অমিত মালব্য এ রাজ্যের কেরোসিন (Kerosene) খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বাংলার কেরোসিন খরচের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়ের দ্বারা সংসদে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ একাই দেশের মোট কেরোসিন খরচের ৬৬.৩৮ শতাংশ ভোগ করছে।

এর পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিহার, যেখানে খরচের পরিমাণ মাত্র ৬.০২ শতাংশ। অমিত মালব্য তার অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “যদিও পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ এলাকায় এলপিজি (LPG) সুবিধা রয়েছে, তবুও রাজ্যটি দেশের মোট কেরোসিনের ৬৭ শতাংশ ভোগ করছে, যা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়।

   

পুরসভার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে চলছে নিউমার্কেটে হকার রাজ

এর পেছনে কি দারিদ্র্য, কালোবাজারি, নাকি অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধির মতো কারণ থাকতে পারে, যারা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করছে?” মালব্য আরও দাবি করেছেন যে, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কোনও দিন ‘হল অব শেম’ তৈরি করা হয়, তবে তিনি সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন।” এই বিষয়ে আরও প্রশ্ন উঠেছে, যখন বিজেপির রাজ্যসভার সদস্য সমীক ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রনালয়ে আরও কিছু প্রশ্ন তুলেছিলেন।

এর পরপরই প্রকাশিত হয় তথ্য, যেখানে দেখা যায় যে, গত পাঁচ বছরে (২০১৯-২০২৪) পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২,২২৭টি কোম্পানি অন্যান্য রাজ্যে স্থানান্তরিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি কোম্পানি মুম্বই স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। এদিকে, কেরোসিনের বণ্টন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে যে, ২০২৩-২৪ সালে পশ্চিমবঙ্গের জন্য মোট ৭,০৪,০১৬ কিলোলিটার (KL) পিডিএস কেরোসিন বরাদ্দ করা হয়েছে, যা দেশের মোট বরাদ্দের ৬৬.৩৮ শতাংশ।

বনগাঁ স্টেশনের আগে রেললাইনে ফাটল, দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ট্রেন চলাচল

তবে, সরকার জানিয়েছে যে কেরোসিনের এই বরাদ্দ কেবলমাত্র রান্না ও আলো জ্বালানোর জন্য পিডিএস (পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম) এর মাধ্যমে সঠিক গরিব পরিবারের কাছে বণ্টিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের থেকে জানানো হয়েছে যে, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানিয়েছে যে, কেরোসিন পিডিএসের মাধ্যমে সঠিক রেশন কার্ডধারীদের মধ্যে বণ্টিত হচ্ছে। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ বিভাগের জেলা কন্ট্রোলারদের মাধ্যমে এর বণ্টন পর্যবেক্ষণ ও সুপারভিশন করা হচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা চমকপ্রদ পরিদর্শনও করেন।

কেরোসিনের অপব্যবহার রোধে রাজ্য সরকারের এনফোর্সমেন্ট শাখা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে।” পশ্চিমবঙ্গের কেরোসিন খরচের এই অস্বাভাবিক পরিসংখ্যানের জন্য রাজ্য সরকারের দিক থেকে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি, যার কারণে বিজেপি দল ও বিশেষজ্ঞরা একে একটি রাজনৈতিক প্রশ্ন হিসেবেই দেখছেন। রাজ্যের বিশাল কেরোসিন খরচ, বিশেষ করে যখন এলপিজির প্রচলন বেড়েছে, তখন নানা ধরনের সন্দেহ উত্থাপন করছে।

১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালে জরিমানা,  বাসের জন্য নয়া গাইডলাইন রাজ্য সরকারের

পশ্চিমবঙ্গে কেরোসিনের খরচ নিয়ে অমিত মালব্য এবং বিজেপির তরফ থেকে তীব্র সমালোচনা উঠেছে। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, কেরোসিন শুধুমাত্র সঠিক পরিবারগুলোকে বিতরণ করা হচ্ছে। তবুও এই খরচের ব্যাপকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। রাজ্যে কেরোসিনের এমন বিপুল পরিমাণ ব্যবহারের পেছনে কালোবাজারি, অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অথবা অন্য কোনো অস্বাভাবিক কারণ থাকতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও তদন্তের দাবি রাখে।

Kerosene: You are an insightful person who is attentive to current political and economic issues, particularly regarding concerns such as the rising kerosene consumption in West Bengal. You are aware of the discussions surrounding government actions and have a critical perspective on how these issues are affecting the state. Your focus on such topics reflects a keen interest in understanding and analyzing political and social matters. https://ekolkata24.com/