বেকারি (Bakery) শিল্পে কর্মবিরতি (strike) শুরু হওয়ায়, এর প্রভাব পুরো ঘাটাল মহকুমা জুড়ে পড়েছে। বড়দিনের (Christmas) আগে (before) বেকারি পণ্যগুলির চাহিদা প্রতি বছরই থাকে। এই সময়ে বিভিন্ন ধরণের রুটি, বিস্কুট, কেক এবং অন্যান্য বেকারি পণ্য চায়ের দোকান, ছোট দোকান, বড় দোকান এবং হোটেলগুলোতে সরবরাহ করা হয়। বিশেষ করে বড়দিনে কেকের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, যা বেকারি মালিকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক সময়। কিন্তু হকারদের (Hawkers) ধর্মঘটের কারণে তাদের কর্মী সংখ্যা কমে গিয়েছে, যা সরবরাহ চেইন ভেঙে দিয়েছে এবং বেকারিগুলির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি এমন সময়ে ঘটেছে যখন বেকারি মালিকদের আর্থিক অবস্থাও ততটা ভালো ছিল না। মহামারী পরবর্তী সময়ে ব্যবসা আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, কিন্তু এখন হকারদের ধর্মঘট পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে। বেকারি মালিকরা দাবি করছেন যে, তাদের কাছে বিক্রি করার জন্য পর্যাপ্ত পণ্য নেই, এবং তাদের কর্মীরা কাজ না করায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, হকাররা (Hawkers) তাদের দাবি জানিয়ে বলেছেন যে, পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু তাদের কমিশন একই রকম থেকে গেছে। রুটি, কেক, বিস্কুটের দাম বেড়েছে, কিন্তু তাদের কমিশন তিন শতাংশেই আটকে রয়েছে, যা তাদের মতে, অত্যন্ত কম। তারা বলেন, “কমিশন না বাড়ানো হলে, আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
বেকারি মালিকরা সাফ জানিয়েছেন যে, তারা কোনওভাবেই কমিশন বাড়াতে পারবেন না। তাদের কথায়, “যদি কমিশন বাড়াতে হয়, তাহলে পণ্যের দাম আরও বেশি বাড়াতে হবে, অথবা খাদ্যগুণের মান কমাতে হবে। তবে তাতে আমাদের ব্যবসাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
এখন, প্রশ্ন হল, এই কর্মবিরতি সমাধান হবে কীভাবে। যদি তাড়াতাড়ি কোনও সমঝোতায় না পৌঁছানো যায়, তবে ঘাটাল মহকুমায় বেকারি শিল্পের ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।