মৌসুমের পরিবর্তন এবং ফসলের সরবরাহের উপর ভিত্তি করে সবজির বাজারে (Vegetable Price) প্রায়ই দামের ওঠানামা দেখা যায়। এই শীতকালীন মৌসুমে শীতকালীন সবজির (Vegetable Price) সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন সবজির দামে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বেগুন, ফুলকপি, টমেটো, শিম, গুয়ার, এবং বরবটি ইত্যাদি। তবে গৃহস্থ মহিলাদের মতানুসারে, সবজির মান (Vegetable Price) এখনো প্রত্যাশিত স্তরে পৌঁছায়নি। আসুন, আজকের বাজারে বিভিন্ন সবজির দাম (Vegetable Price)বিস্তারিতভাবে জানি।
আজকের সবজির দাম:(Vegetable Price)
আলু: প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা।
পেঁয়াজ: প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৭০ টাকা।
সরিষা: প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকা।
মিষ্টি আলু: প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৮০ টাকা।
বেগুন: প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা।
কুচো বেগুন: প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
বাঁধাকপি: প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
ফুলকপি: প্রতি কেজি ২১ থেকে ৩০ টাকা।
বরবটি: প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
টমেটো: প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
লাউ: প্রতি কেজি ১৬ থেকে ২৫ টাকা।
শিম: প্রতি কেজি ৫৭ থেকে ৭০ টাকা।
মটরশুটি: প্রতি কেজি ৭৭ থেকে ৮৫ টাকা।
ডাটা শাক: প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৫০ টাকা।
শুকনো রসুন: প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।
ঢেঁড়স: প্রতি কেজি ৪৭ থেকে ৬৫ টাকা।
শশা: প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা।
করলা: প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
গুয়ার: প্রতি কেজি ৫৭ থেকে ৭০ টাকা।
শীত মৌসুমে নতুন ফসল উঠতে শুরু করায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। ফলে অনেক ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। বিশেষ করে বেগুন এবং ফুলকপির দাম খুবই কম, যা সাধারণ ক্রেতাদের জন্য উপকারী। তবে কিছু উচ্চমানের পণ্য, যেমন রসুন এবং শিম, তুলনামূলকভাবে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গৃহস্থরা অভিযোগ করেছেন যে বাজারে অনেক সবজির গুণগত মান প্রত্যাশিত স্তরে নেই। বিশেষ করে শিম এবং মটরশুটি, যা দামি হলেও মান অনুযায়ী তেমন ভালো নয়। এটি মূলত সরবরাহ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত এবং কৃষকদের ফসল কাটার পরে সংরক্ষণ ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি করা দরকার।
স্থানীয় বাজার যাচাই করুন: স্থানীয় বাজারের তুলনায় বড় বাজারে দাম কিছুটা বেশি হতে পারে।
গুণগত মান যাচাই করুন: তাড়াহুড়ো করে না কিনে প্রতিটি পণ্য ভালোভাবে দেখে নিন।
পরিমাণে কেনাকাটা: মৌসুমী সবজি সস্তায় পাওয়া গেলে বেশি পরিমাণে কিনে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
আগামী সপ্তাহে যদি সরবরাহ আরো বাড়ে, তাহলে আরো দামের পতন হতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের অবস্থার উপরও কিছু পণ্যের দাম নির্ভরশীল। বিশেষ করে শুকনো রসুনের মতো পণ্য, যা স্থানীয় বাজারে উৎপাদিত হলেও এর কিছু পরিমাণ আমদানি করা হয়।