বাংলাদেশে হিন্দু-নিধন, অশান্তির আবহে জিয়ার বাসভবনে পাক রাষ্ট্রদূত, ‘চক্রান্তে’ নজর ভারতের

সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তারই মধ্যে বুধবার ঢাকায় বিএনপি (BNP) নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Jia) সঙ্গে দেখা করলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। এদিন…

Pakistan High Commisisonar Sayad Ahmed Mahroof met with BNP leader Khaleda Jia amid ongoing tension, concern for India!

short-samachar

সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। তারই মধ্যে বুধবার ঢাকায় বিএনপি (BNP) নেত্রী খালেদা জিয়ার (Khaleda Jia) সঙ্গে দেখা করলেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। এদিন সকালে বিএনপি সভানেত্রীর বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাক হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মাহরুফ (Syed Ahmed Maroof)। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খালেদা জিয়ার (Khaleda Jia) সঙ্গে বাসভবনে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন তিনি। তবে ওই বৈঠকে বিএনপি নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের অন্যান্য সদস্যরাও। তবে বাংলাদেশে চলমান অশান্তির মধ্যে এই বৈঠক যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

   

আগরতলায় দূতাবাসে হামলা, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করল বাংলাদেশ

কারণ বিএনপির সঙ্গে পাক-রাষ্ট্রদূতের এই বৈঠকে অ অশনি সঙ্কেত দেখছে ভারত। কারণ সম্প্রতি ২০০৪ সালের গ্রেনেড মামলায় জিয়া পুত্র তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। তারপরই জিয়া-মাহরুফ সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।  

High Commissioner Syed Ahmed Maroof, accompanied by Mrs. Maroof, met BNP Chairperson Begum Khaleda Zia at her Gulshan residence this evening. He inquired about her wellbeing and wished her speedy recovery. Bilateral relations and matters of mutual interest also discussed. pic.twitter.com/Cn0ZVjcptp

অতীতে বিএনপির শাসন কালে পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে জিয়ার সখ্যতায় ভালো অভিজ্ঞতা নেই ভারতের। উত্তর-পূর্বে বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত দেওয়া, অনুপ চেটিয়ার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে বাংলাদেশে আশ্রয়, অস্ত্র পাঠানো থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ পাকিস্তানের মদতেই করে এসেছে তৎকালীন বিএনপি সরকার। সুতরাং গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। সূত্রের খবর, হাসিনার পতনের পর ঢাকাতে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

সীমান্ত শান্তিচুক্তির পর উন্নতির পথে এগোচ্ছে ভারত-চীনের সম্পর্ক, জানালেন জয়শংকর

সেই পাক এজেন্টদের একটা বড় অংশের সঙ্গেই সম্পর্ক মজবুত করছে বিএনপি-জামাতের মতো দলগুলি। আর ইসলামাবাদের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ মদতেই ঢাকার গদি সামলাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনিস। ঢাকার সেনা দফতর গুলিতেও সম্প্রতি আনাগোনা বাড়িয়েছে পাক এজেন্টরা। যাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে লড়িয়ে দিয়ে দূর থেকে ‘মজা’ দেখা। তাই ভারতের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উসকে দিতে চাইছে ইসলামাবাদ। আর এমনটা হলে তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি অধিক হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল।

বাংলাদেশে বর্তমানে প্রশাসনিক ক্ষমতার অন্যতম মূলস্তম্ভ ছাত্র-যুবকেরা। যাদের অধিকাংশেরই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা নেই। তাদের চাপে পড়েই অনেকক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন ইউনূস সরকার। যা অজান্তেই বিপদ ও অস্থিরতা ডেকে আনছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে। সুতরাং এরকম চললে আগামীতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পাশাপাশি দেশটি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়বে বলেই মনে করে কূটনৈতিক মহল। তারমধ্যে সম্প্রতি ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তারমধ্যে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি।

এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সেই প্রতিক্রিয়া পেতেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইউনিসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থিত মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর ‘টার্গেট কিলিং’ শুরু করেছে তারা। ভাঙচুর চলছে একাধিক মন্দিরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশের হিন্দুরা। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা (Indian Army) মোতায়েন করেছে ভারত। কারণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরে এই ভারতের সেনা মোতায়েন নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে।

ব্যাপক বিক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক আইন জারি করেও পিছু হঠল দক্ষিণ কোরিয়া

তবে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট-দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে আদৌ ভারত সামরিক বল প্রয়োগ করবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর রাজনাথ সিংহের সেনাকে ‘প্রস্তুত’ থাকার বার্তা সামনে আসতেই আরও জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তবে এক্ষেত্রে চলমান অস্থিরতার জের কিংবা নির্বাচন পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্টতা কোনদিকে মোড় নেয়। সেদিকে তাকিয়ে রয়ে সাউথব্লক। তা যদি ২০০০-২০০৮ তৎকালীন সময়কাল বিএনপি যুগের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে ‘কড়া পদক্ষেপ’ নিয়ে হয়তো পিছুপা হবেনা নয়াদিল্লি।

Bangladesh: Bangladesh is currently grappling with communal violence, escalating tensions across the nation. In the midst of this turmoil, Pakistan’s High Commissioner to Dhaka, Syed Ahmed Maroof, met with BNP Chairperson Khaleda Zia on Wednesday. The meeting took place at her residence in Dhaka in the morning, where the High Commissioner reportedly inquired about Khaleda Zia’s health and spent a significant amount of time in discussion.

According to media sources, several close associates of the BNP leader were also present during the meeting. While the exact topics of discussion remain undisclosed, the meeting is being deemed highly significant by diplomatic circles, given the ongoing unrest in Bangladesh https://ekolkata24.com/