হিন্দুত্ববাদীদের হামলায় আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাস (Bangladesh Assistant High Commission) বন্ধ করেছে ভিসা প্রদান সহ বিভিন্ন পরিষেবা। এর জেরে আরও জটিলতা। ত্রিপুরা (Tripura) থেকে বাংলাদেশে (Bangladesh) যাওয়া ও পড়শি দেশের নাগরিকরা প্রভূত অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন। দূতাবাসের সামনে ভিড় বাড়ছে।
ত্রিপুরার তিন পাশে বাংলাদেশ
ত্রিপুরার তিন দিকে ঘেরা বাংলাদেশ।এক পাশে অসম ও মিজোরাম। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ও যাতায়াতের জন্য আগরতলার কুঞ্জবন এলাকায় থাকা বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশন থেকে সিংহভাগ ভিসা প্রদান করা হয়। অসমের দিক থেকেও হয়। তবে আগরতলা থেকে আখাউড়াসহ অন্যান্য সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত বেশি।
বাংলাদেশে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকে ভারতে ইসকনসহ বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন ও বিজেপি প্রতিবাদে সামিল। সেই রেশ ধরে সোমবার (২ জিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ চলছিল। বিজেপি শাসিত রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসে ঢুকে হামলা চালায়। এর জেরে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের তরফে আগরতলার দূতাবাস থেকে ভিসা প্রদান বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
দূতাবাসের এমন পদক্ষেপে বিপাকে পড়েছেন বহু জন। দূতাবাস ভবনের সামনে অধীর প্রতীক্ষায় তারা। আগরতলার সংবাদ মাধ্যমে এই ছবি প্রকাশ হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় শুরু হয়েছে ধরপাকড়। একাধিক হিন্দুত্ববাদী হামলাকারী গ্রেফতার। নিরাপত্তার দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা ‘ক্লোজ’ ও কয়েজন পুলিশকর্মী সাসপেন্ড।
নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আগরতলাতে বাংলাদেশের সহকারি হাই কমিশনে সকল প্রকার ভিসা ও কনসুলার সেবা কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত বলে জানান দূতালয় প্রধান মহম্মদ আল আমীন।
মুখ্যমন্ত্রীর নিন্দা:
বাংলাদেশ দূতাবাসে হিন্দুত্ববাদীদের হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা।
প্রধান বিরোধী দল CPIM-এর প্রতিক্রিয়া:
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক গরম পরিস্থিতি নিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলে এর বিরুদ্ধে পথে নামে লাল ঝান্ডা! পথে নামে বামপন্থীরা! সে ভারত হোক বা বাংলাদেশ!
আগরতলার সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ত্রিপুরায় বিগত ২৫ বছরের বামফ্রন্ট শাসনে বাংলাদেশের দূতাবাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া:
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে হামলার নিন্দা করে বলা হয় ‘এটি বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর নির্যাতন আরও বাড়িয়েছে’