ব্যতিক্রমী সিঙ্গুর, কর্ম বিরতিতে সামিল হননি আলু ব্যবসায়ীরা

ব্যতিক্রমী (exceptional) সিঙ্গুর(singur), কর্ম বিরতিতে সামিল হননি আলু (potato) ব্যবসায়ীরা (traders)। আলু ব্যবসায়ীরা ফের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন, যার ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। গত…

Potato Prices Remain High Across Calcutta Despite Drop in Prices of Other Vegetables

ব্যতিক্রমী (exceptional) সিঙ্গুর(singur), কর্ম বিরতিতে সামিল হননি আলু (potato) ব্যবসায়ীরা (traders)। আলু ব্যবসায়ীরা ফের কর্মবিরতির ঘোষণা করেছেন, যার ফলে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। গত কয়েকদিন ধরে চলা উত্তেজনার পর মঙ্গলবার থেকে আবার আলু সরবরাহ বন্ধ (strike) করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এর আগে, রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গে বৈঠকে কিছু সমাধান বের হওয়ার চেষ্টা করা হলেও, কার্যত কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হয়নি। এর ফলস্বরূপ, প্রায় ২৫,০০০ আলু ব্যবসায়ী কর্মবিরতিতে যোগ দিয়েছেন।

সিঙ্গুর-রতনপুর আলু ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুকুমার সামন্ত জানান, “এখন সাধারণ মানুষের স্বার্থে বাজার খোলা রাখা উচিত। যদি আমরা বাজার বন্ধ করি, তবে আলুর দাম আরও বাড়বে।” তাঁর মতে, গত কয়েকদিনে আলুর দাম প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ৫০ কেজির বস্তায়, এবং খুচরো বাজারে কেজি প্রতি আলুর দামও ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষের কাছে আলু আরও অগ্নিমূল্য হয়ে উঠতে পারে।

   

এদিকে, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, তাদের কর্মবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে, যতদিন না পর্যন্ত আলু রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে, সীমান্তে নজরদারি বাড়ানোর ফলে অনেক জায়গায় আলু বোঝাই গাড়ি আটকানো হচ্ছে, যার ফলে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অবস্থা যদি অব্যাহত থাকে, তবে বাজারে ভয়াবহ সংকট তৈরি হতে পারে।

খুচরো ব্যবসায়ী অমিত কোল জানান, “আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন ৩৫ টাকা কেজি দরে জ্যোতি আলু এবং ৪০ টাকা কেজি দরে চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি করতে হচ্ছে। বর্তমানে আলু আনতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।” তবে, সিঙ্গুরের আলু ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছেন যে, তাঁরা সাময়িকভাবে বাজার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যাতে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে না কিনতে হয়।

আলু ব্যবসায়ীরা মূলত দাবি জানিয়েছেন, ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, যাতে সরবরাহে কোনো বাধা না আসে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও কৃষক বা আড়তদারের কাছে আলু মজুত নেই, তবে বড় ব্যবসায়ীদের কাছে কিছু পরিমাণ মজুত রয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, যাতে এই সংকট শিগগিরই সমাধান হয়।

এখন, প্রশ্ন হলো—এই কর্মবিরতির ফলে বাজারে দাম আরও বৃদ্ধি পাবে কি না এবং সাধারণ মানুষের কাছে আলু সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়বে কিনা। যদি সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হতে পারে, যা একটি বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।