পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিধানসভা তাঁর ভাষণ থেকে কেন্দ্র সরকারের কাছে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী (UN Peacekeeping Force) পাঠানোরপরামর্শ রেখেছেন। বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চিন্তিত। তিনি বলেছেন ভারত সরকার রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে কথা বলুক যাতে সেখানে তারা শান্তি বাহিনী পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে অনুরোধ রইল। (cm mamata un peacekeeping force)
মমতার পরামর্শ cm mamata un peacekeeping force
মমতা যা পরামর্শ দিয়েছেন তার ভিত্তিতে Kolkata 24×7 রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখেছে। এতে দেখা যাচ্ছে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অংশ নেওয়া সর্বচ্চো সেনা সদস্য পাঠানোর তালিকায় গত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তৃতীয় সর্বাধিক দেশ হলো বাংলাদেশ!
রাষ্ট্রসংঘ (UN) সদস্যভুক্ত দেশগুলিকে নিজ নিজ দেশের সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যদের শান্তিরক্ষী বাহিনীর অম্তর্ভুক্ত করাতে হয়। এই বাহিনী বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা চলাকালীন শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত হয়। 2024 সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শান্তিরক্ষী বাহনীর পরিসংখ্যান দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সর্বাধিক প্রথম চারটি দেশ
“Contribution of Uniformed Personnel to UN by Country and Personnel Type” এই তালিকা অনুসারে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সর্বাধিক প্রথম চারটি দেশ হল-
নেপাল-6125 জন
রুয়ান্ডা- 5886 জন
বাংলাদেশ – 5856 জন
ভারত- 5391 জন
এই তালিকায় পাকিস্তান আছে সপ্তম স্থানে। চিন আছে অষ্টম স্থানে।
কূটনৈতিক চাপ
বিশ্লেষণে উঠে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ মেনে যদি ভারত সরকারের তরফে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর জন্য কোনও কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে চায় সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি সেনা আধিক্যে বলীয়ান শান্তিরক্ষী বাহিনীকে যেতে হবে।
রাষ্ট্রসংঘের তথ্য
রাষ্ট্রসংঘ তথ্যে লেখা আছে, “আমাদের সামরিক এবং পুলিশ কর্মীরা তাদের নিজস্ব জাতীয় পরিষেবার প্রথম এবং সর্বাগ্রে সদস্য এবং তারপর রাষ্ট্রসংঘের সাথে কাজ করে। তারা বড় এবং ছোট, ধনী এবং দরিদ্র দেশ থেকে আসে। তারা চাকরিতে বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আসে, কিন্তু তারা শান্তি বজায় রাখার জন্য তাদের সংকল্পে ঐক্যবদ্ধ।”
রাষ্ট্রসংঘ তথ্যে বলা হয়েছে, শান্তিরক্ষীরা সংঘাত পরবর্তী এলাকায় শান্তি প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করে এবং প্রাক্তন যোদ্ধাদের তাদের স্বাক্ষরিত শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়তা করে। প্রাক্তন যোদ্ধাদের আলাদা করা, আত্মবিশ্বাস তৈরির ব্যবস্থা, ক্ষমতা ভাগাভাগি ব্যবস্থা, নির্বাচনী সহায়তা, আইনের শাসনকে শক্তিশালী করা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সহ এই ধরনের সহায়তা অনেক রূপে আসে। শান্তিরক্ষীদের হালকা নীল বেরেট বা হেলমেটের কারণে ব্লু বেরেট বা ব্লু হেলমেট হিসাবে উল্লেখ করা হয় সৈন্য, পুলিশ অফিসার এবং অসামরিক কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
Bangladesh: West Bengal CM Mamata Banerjee urges the Indian government to request UN Peacekeeping Forces for Bangladesh amidst the ongoing crisis. She is deeply concerned about the situation and calls for immediate intervention for peace and stability.