ইডি-র অভিযান (ED Raid) রাজ্যজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। মেডিক্যাল কলেজে (Medical College) ভর্তির (Admission) দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগে মঙ্গলবার সকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান শুরু করেছে ইডি। বিশেষ করে সল্টলেকের বিসি ব্লকের আবাসনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযোগ, এনআরআই কোটায় জাল নথি ব্যবহার করে বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এমবিবিএস কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার তদন্তে ইডি গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে এবং তারা নিশ্চিত যে, তল্লাশি থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হবে, যা এই দুর্নীতির মামলায় গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে।
ইডি-র (ED) অভিযানে শুধু সল্টলেক নয়, রাজ্যের অন্যান্য স্থানে—বজবজ, দুর্গাপুর, হলদিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও অভিযান চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, কিছু ব্যক্তির বাড়িতেও তল্লাশি চলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রাজ্যে অসাধু উপায়ে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের শাস্তি হবে।
রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চলমান দুর্নীতির তদন্ত শুধু মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা পরীক্ষার (JEE) পরও বড় ধরনের দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ এসেছে, একটি বেসরকারি সংস্থা অনলাইনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছু পরীক্ষার্থীকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই সংস্থার কর্মী এবং শিক্ষকরা, রিমোট অ্যাক্সেসের মাধ্যমে, পরীক্ষার্থীদের হয়ে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির দুর্নীতির তদন্তে আজকের তল্লাশি এইসব ঘটনারই অঙ্গ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইডি-র এই অভিযান রাজ্য সরকার ও শাসক দলের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ এ ধরনের অভিযানে সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে পারে। একই সঙ্গে, রাজ্যের জনমানসে এই অভিযানের প্রভাব অনেক বেশি পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি এতে আরও বড় দুর্নীতির ছবি উন্মোচিত হয়।