আলু ধর্মঘট (patato Strike) নিয়ে রাজ্যে তৈরি হওয়া অস্থির পরিস্থিতি এখন শীর্ষ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার রাতে আলু ব্যবসায়ীরা (patato Businessmen) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, মঙ্গলবার থেকে বাজারে আলু সরবরাহ বন্ধ (strike) রাখবেন তারা। এমনকি রাজ্যের মন্ত্রী (Minister) বেচারাম মান্নার সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকেও তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে, রাজ্যে আলুর ঘাটতি দেখা দেবে এবং দাম বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের কাছে আরও বেশি সমস্যা সৃষ্টি করবে।
এই পরিস্থিতির মূল কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার আলু রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে আলুর রপ্তানির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে ভিনরাজ্যে হু হু করে আলু রপ্তানি হচ্ছিল, যার ফলে এখানকার বাজারে দাম বাড়ছিল। মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের পকেটে টান পড়ছিল, এবং এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্টভাবে জানান, কেন তাঁর অনুমতি ছাড়াই আলু রপ্তানি হচ্ছে। এরপরই রাজ্যের প্রয়োজন মিটিয়ে তবেই ভিনরাজ্যে রপ্তানি হবে বলে নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি মিড ডে মিলের জন্য অতিরিক্ত আলু কিনে নেয়ার কথা জানান।
তবে আলু ব্যবসায়ীরা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ। তাদের মতে, রাজ্য সরকার এইভাবে হস্তক্ষেপ করলে তাদের ব্যবসায় সমস্যা সৃষ্টি হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান, সোমবার দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেও কোনো সমাধান হয়নি, তাই ধর্মঘট অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মন্ত্রী বেচারাম মান্না এই সংকটের জন্য সিপিএম এবং বিজেপিকে দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপি রাজ্য সরকারকে অজান্তে অনেক আলু বাংলাদেশে রপ্তানি করেছে, যা রাজ্যে সংকট তৈরি করার উদ্দেশ্যে। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির মধ্যে সিপিএমের লোকজনও রয়েছে, যারা পূর্বের যুগের মতো ধর্মঘটের সংস্কৃতি ফেরাতে চাইছে।
এখন এই ধর্মঘটের ফলে রাজ্যের আলু বাজারে টানাপড়েন এবং দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে, যা সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হতে পারে।