বাংলাদেশে (Bangladesh) চলমান অস্থিরতা ও হিন্দু নির্যাতনের (Hindu Genocide) জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh relation) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। তারমধ্যে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির পর আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তারমধ্যে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি।
হিন্দুদের আক্রমণ করে টেকা যাবে না, বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিলীপের
এমন অবস্থায় চুপ করে বসে নেই নয়াদিল্লিও। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সেই প্রতিক্রিয়া পেতেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইউনিসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থিত মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর ‘টার্গেট কিলিং’ শুরু করেছে তারা। ভাঙচুর চলছে একাধিক মন্দিরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশের হিন্দুরা।
ট্রাম্পের আমেরিকায় FBI ডিরেক্টর এবার ‘ভারতীয়’ কাশ্যপ প্যাটেল, জানুন কে এই গুজরাতি!
এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা (Indian Army) মোতায়েন করেছে ভারত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের (Bangladesh) চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা (Indian Army) মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনুস সরকারের।
তবে মুখে তা না মানলেও কথাবার্তা আচরণে সেই আশঙ্কা স্পষ্ট টের পাচ্ছেন তারা। কারণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরে এই ভারতের সেনা মোতায়েন নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও পাকিস্তান ও মায়ানমারে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে বাংলাদেশের ওপর সেই আশঙ্কার কথাও বলছেন। তবে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট-দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে আদৌ ভারত সামরিক বল প্রয়োগ করবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। যদিও পরিস্থিতি আরও বেগতিক হলে ভারতের সেনা প্রস্তুত রয়েছে বলেও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই ‘প্রস্তুত’ বার্তা সামনে আসতেই আরও জল্পনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি ও হিন্দু নির্যাতন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেও বিষয়টিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আর তারপরই রাজনাথের বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিকমহল। এদিকে বাংলাদেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু নিধনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসার সমস্ত রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে ইউনুসের সরকার। এমনটাই জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ নেবে রাজ্য,স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ফলে রীতিমতো বেকায়দায় প্রতিবেশি দেশের হিন্দু সম্প্রদায়। এই অশান্তির আবহেই আগামীকাল সোমবার ফের আদালতে শুনানি সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের। জাতীয় পতাকা অবমাননা ও উত্তেজনায় ইন্ধনের অভিযোগ তোলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। প্রথমবার জামিন খারিজ হলেও আগামীকাল তিনি জামিন পান কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ।