গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে পদক্ষেপ নেবে রাজ্য,স্পষ্ট বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত অসম সরকার। অসমে (Assam) উপ নির্বাচনে জিততে সংখ্য়ালঘু এলাকায় গরুর মাংস বিতরণ করেছে বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়ে এমনই…

imanta Sarma Ready To Ban Beef In Assam

short-samachar

গরুর মাংস নিষিদ্ধ করতে প্রস্তুত অসম সরকার। অসমে (Assam) উপ নির্বাচনে জিততে সংখ্য়ালঘু এলাকায় গরুর মাংস বিতরণ করেছে বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি উপনির্বাচনে পরাজিত হয়ে এমনই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। সেই প্রেক্ষিতেই এবার গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসম সরকার। যদিও এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa sharma)। 

   

প্রবল জ্বর গলাব্যাথা, গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ শিন্ডে, মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নে জল্পনা জারি

এই প্রসঙ্গে হিমন্ত বলেন, “আমি খুশি যে কংগ্রেস এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে। এই অভিযোগ প্রমাণ করে যে, কংগ্রেস এখন মিথ্যে অপপ্রচারের ওপর নির্ভর করছে। জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে এবং তারা সেটি মেনে নিতে পারছে না।” 

অসমের সমাগুরি বিধানসভা কেন্দ্রের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিপ্লু রঞ্জন শর্মা কংগ্রেস প্রার্থী তানজিল হোসেন-কে ২৪,৫০১ ভোটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। তানজিল ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রকিবুল হোসেনের পুত্র। এই পরাজয় কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা, বিশেষ করে যেহেতু সমাগুরি কেন্দ্রটি গত ২৫ বছর ধরে কংগ্রেসের দখলে ছিল। 

গুয়াহাটিতে একটি পার্টি মিটিংয়ের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, কংগ্রেসের জন্য এটি একটি বড় লজ্জা। তিনি বলেন, “সমাগুরি কেন্দ্রটি ২৫ বছর ধরে কংগ্রেসের দখলে ছিল। এমন একটি আসন ২৪,৫০১ ভোটে হারানো কংগ্রেসের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লজ্জা। এটি কংগ্রেসের পরাজয়, বিজেপির জয় নয়। কংগ্রেসের এই পরাজয় তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং জনবিচ্ছিন্নতার ফল।”

বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিত্ব দেওয়ার দাবি দিলীপের

দীর্ঘদিন ধরে সমাগুরি কংগ্রেসের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। রকিবুল হোসেন, যিনি এই আসনে একাধিকবার জয়লাভ করেছেন, তার পরিবারের প্রার্থীকেও বিজেপি-র কাছে পরাজিত হতে হলো। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিজেপি এখানে চমৎকার কৌশল গ্রহণ করেছে, যার ফলে এই ফলাফল সম্ভব হয়েছে।

সমাগুরি কেন্দ্রটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হওয়ায় এখানে বিজেপি-র জয়কে অনেকেই বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন। ২৫ বছর ধরে এই কেন্দ্রটি কংগ্রেসের দখলে থাকায়, এটি তাদের জন্য একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল।

ট্রাম্পের আমেরিকায় FBI ডিরেক্টর এবার ‘ভারতীয়’ কাশ্যপ প্যাটেল, জানুন কে এই গুজরাতি!

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরাজয় আসামের কংগ্রেস ইউনিটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রকিবুল হোসেনের মতো প্রবীণ নেতার প্রভাব এই নির্বাচনে খুব একটা কাজ করেনি। পাশাপাশি, কংগ্রেস নেতৃত্বের নতুন প্রজন্মের প্রতি ভোটারদের আস্থা না থাকার বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।