“আমরা চাল, ডাল না পাঠালে তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে”, সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলীপের

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতন এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তারির ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদী হিন্দুদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ক্রমশই বৃদ্ধি…

short-samachar

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর চলমান নির্যাতন এবং হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের গ্রেপ্তারির ঘটনায় উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রতিবাদী হিন্দুদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দমনপীড়ন ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এই পরিস্থিতি ভারতেও উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ নিয়ে এবার সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমরা যদি চাল, ডাল পাঠানো বন্ধ করে দিই, তাহলে তো খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। চিকিৎসা, বিয়ে, সবকিছুর জন্যই তাদের কলকাতায় আসতে হয়। হিন্দুদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে, এবার সীমান্ত বন্ধ (Border Closure) করে সব আটকে দেব।’’ পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি (Warning) দেন, ‘‘তখন দেখব, কত দম্ভ!’’

   

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের প্রধান এবং ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা দায়েরের পর থেকেই প্রতিবাদী হিন্দুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বেড়ে গেছে। হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলির উপর আক্রমণ, প্রতিবাদী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারি, এবং মুসলিম ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হামলার খবর আসছে প্রতিদিন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশে প্রতিবাদের ঢেউ উঠলেও পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের দমন করছে। এর পরেই ইসকনের আরও তিন ভক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নয়াদিল্লি একাধিকবার বাংলাদেশের ইউনুস সরকারকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কঠোর বার্তা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এই ইস্যুতে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তবে, দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে বিষয়টি আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, ‘‘এভাবে অত্যাচার চলতে থাকলে মুখ বুজে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।’’ এরই মধ্যে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মহম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরস্কার বাতিল করার প্রস্তাবও দিয়েছেন।

বাংলাদেশে এই পরিস্থিতি তীব্র হয়ে ওঠার পর, ভারতীয় রাজনীতিবিদরা দেশটির সরকারের প্রতি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি, ‘‘যত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার চলবে, তত দিন ভারত এই ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চলেছে’’—এমনটিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।