বাংলাদেশি (Bangladesh) আরএসএস ঘনিষ্ঠ নেতা গোবিন্দ প্রামাণিক ফের বিস্ফোরক। তিনি ইসকন (ISKCON) ও চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের কড়া সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশের এই হিন্দু সংগঠক তার দেশের জামাত ইসলামির বিশেষ ‘অন্তরঙ্গ’।
বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। চট্টগ্রাম আদালতে কুপিয়ে খুন করা হয় সরকারি আইনজীবী (এপিপি) সাইফুল ইসলামকে। আদালত প্রাঙ্গণে এমন ঘটনাকে ‘চিন্ময়ের ভক্তদের লঙ্কাকাণ্ড’ বলেছেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক।
গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছেন, এমন কাজ ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়।’ তিনি আরও বলেন, আইনজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
চিন্ময়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে মামলা চলছে। অভিযোগ, তিনি গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনার সরকার পতনের চট্টগ্রামের একটি ধর্মীয় জমায়েত থেকে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন। ওই সমাবেশ হয়েছিল গত ২৫ আগস্ট। সেই সমাবেশে জাতীয় পতাকার উপর ধর্মীয় পতাকা রাখা হয়েছিল। জাতীয় পতাকার অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহে অভিযুক্ত চিন্ময়কৃষ্ণ। তার কর্মকাণ্ডের দায় নেবে না বলে জানিয়েছে ইসকন বাংলাদেশ শাখা। ইসকন নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে বাংলাদেশে।
আরএসএস ঘনিষ্ঠ বাংলাদেশের হিন্দু নেতা গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক বলেছেন, ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের পর তার অনুসারীরা আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তা নজিরবিহীন। আদালত পাড়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পালাবদলের পর নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে সমাবেশ করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় সমাবেশও করেন তারা। এই ধরনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বিতর্কের মুখে পডেছেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। চিন্ময়ের ভূমিকা স্বাভাবিকভাবে দেখতে নারাজ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক।
গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছেন, ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্রের পরিচয় দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে যে আন্দোলন হচ্ছে তার সঙ্গে দেশের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনোও সম্পৃক্ততা নেই। পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার হীন উদ্দেশে দেশি ও বিদেশি চক্রান্তের অংশ হিসেবে এ আন্দোলন চালানো হচ্ছে। ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে দেশের সব শ্রেণী-পেশার নাগরিকদের এসব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে সচেতন থেকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।