Laser Defence System: ইজরায়েল তার পদাতিক বাহিনী এবং ট্যাঙ্ককে রক্ষা করতে লেজার অস্ত্র চায়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অস্ত্র প্রস্তুতকারী সংস্থা রাফায়েল শিগগিরই একটি চুক্তি করতে চলেছে। এর আওতায় কমপ্যাক্ট অ্যান্টি-মিসাইল লেজার সিস্টেম কিনবে ইজরায়েল। এই উন্নয়ন যুদ্ধক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে। এটি আইডিএফের ট্রফি অ্যাক্টিভ ডিফেন্স সিস্টেম বা ইজরায়েলি ট্যাঙ্কের উপর বসানো আয়রন ডোমের সমতুল্য। সেনাবাহিনী তার সেনাদের সাথে এটি মোতায়েন করবে যা একটি সক্রিয় লেজার-ভিত্তিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হবে। এটি সম্ভবত প্রাথমিকভাবে এলিট ইউনিট এবং কমব্যাট ব্রিগেডের সাথে মোতায়েন করা হবে।
এই সিস্টেম লেজার রশ্মি ব্যবহার করে আকাশে সেনাদের লক্ষ্য করে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল এবং আত্মঘাতী ড্রোনের মতো হুমকিকে নিরপেক্ষ করতে পারে। শিগগিরই চুক্তি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাফায়েল ট্রফি সিস্টেম তৈরি করেছিল, যার মাধ্যমে ইজরায়েল লেবানন সীমান্তে শত শত হুমকি থেকে মেরকাভা মার্ক IV ট্যাঙ্ক এবং আর্মার্ড যানকে রক্ষা করে। নতুন সিস্টেমটি আগামী বছরের প্রথম দিকে আইডিএফ-এ আসতে পারে।
ইজরায়েলের কি লাভ হবে?
এই কমপ্যাক্ট লেজার সিস্টেমটি IDF-এর প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করবে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ প্রতিটি ট্রফি সিস্টেমে একটি আক্রমণ থামাতে হাজার হাজার ডলার খরচ হয়। যেখানে সক্রিয় লেজার সিস্টেমের সাথে এই খরচ হবে মাত্র কয়েক ডলার। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, রাফাল একটি মুদ্রার আকারের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। এটি দীর্ঘ পরিসরের চেয়ে স্বল্প পরিসরের জন্য আরও সহজ, যা পদাতিক প্রতিরক্ষার জন্য উপযুক্ত।
ইজরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি
বুধবার থেকে ইজরায়েল ও হিজবুল্লার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে কি না তা নিয়ে এলাকায় সংশয় রয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইজরায়েল বলেছে, হিজবুল্লা চুক্তি না মানলে তারা হামলা চালাবে। মঙ্গলবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে গাজায় প্রায় ১৪ মাসের যুদ্ধের অবসানের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। বুধবার ভোর ৪টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।