কিশোর ভারতীতে সুনীল (Sunil Chhetri) ম্যাজিক। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট ছিনিয়ে নিল বেঙ্গালুরু এফসি। বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতার বুকে আইএসএলের নবম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল জেরার্ড জারাগোজার ছেলেরা। যেখানে তাঁদের লড়াই করতে হয়েছিল কলকাতা ময়দানের তৃতীয় প্রধান তথা মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। সম্পূর্ণ সময়ের শেষে ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করল আইএসএল জয়ী এই ফুটবল ক্লাব। এদিন বেঙ্গালুরুর জার্সিতে গোল করেন সুনীল ছেত্রী। পরবর্তীতে আত্মঘাতী গোল করে প্রতিপক্ষ দলকে এগিয়ে দেন ফ্লোরেন্ট ওগিয়ার। অন্যদিকে, মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে একটি মাত্র গোল করেন লবি মানজোকি।
বলাবাহুল্য, এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল সাদা-কালো শিবিরকে। যারফলে ম্যাচের প্রথম কোয়ার্টারেই এগিয়ে গিয়েছিল ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা। পরবর্তীতে সময় এগোনোর সাথে সাথেই বাড়তে থাকে আক্রমণের তেজ। বেশ কয়েক বার গোলের সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কা থেকে শুরু করে অ্যালেক্সিস গোমেজরা। তবে গুরপ্রীত সিং সিন্ধুর দক্ষ হাতে তাঁদের আটকে যেতে হয় বারংবার। প্রথমার্ধের শেষে এক গোলের ব্যবধানেই এগিয়ে থাকে আন্দ্রে চেরনিশভের ছেলেরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ক্রমশ চাপ বাড়াতে শুরু করে বেঙ্গালুরু এফসি।
এক্ষেত্রে ফরোয়ার্ড লাইনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে জর্জ পেরেইরা দিয়াজের পাশে সুনীল ছেত্রীকে মাঠে আনেন বেঙ্গালুরুর স্প্যানিশ কোচ। তারপর সময় যত এগিয়েছে ততই ভয়ঙ্কর হয়েছে প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। যা আটকাতে গিয়ে কার্যত কাল ঘাম ছুটে যাওয়ার মত পরিস্থিতি দেখা দেয় সাদা-কালো ডিফেন্ডারদের। তারপর ৮১ মিনিটের মাথায় নিজেদের গোলপোস্টে প্রতিপক্ষের ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। যারফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু। সেখান থেকেই গোল করে দলকে সমতায় ফেরান সুনীল ছেত্রী।
তারপর থেকেই দুরন্ত ছন্দে ধরা দেয় বেঙ্গালুরু ফুটবল দল। ম্যাচে ফিরে আসার পর ম্যাচের অতিরিক্ত নয় মিনিটের মাথায় ফের আক্রমণে উঠে আসেন সুনীল ছেত্রী। সেটি সামাল দিতে গিয়েই আত্মঘাতী গোল করে বসেন মহামেডানের ফরাসি ডিফেন্ডার ফ্লোরেন্ট ওগিয়ার। শেষ পর্যন্ত এই আত্মঘাতী গোলের দরুন পিছিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করে রাহুল ভেকেরা।