আলুর দাম অগ্নিমূল্য, বাজারে কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের

কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসছে না আলুর দাম (Potato Price Hike)। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নবান্ন থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।…

The Potato Price Hike, middle-class people are gasping for breath while buying in the market

short-samachar

কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসছে না আলুর দাম (Potato Price Hike)। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নবান্ন থেকে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও কোন লাভ হয়নি। বরং আলুর দাম কমার বদলে বেড়েছে চরচর করে। সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহর থেকে গ্রামে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চলছে। টাস্ক ফোর্স ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দাম কমানোর নির্দেশ দিচ্ছে।

   

শহরাঞ্চলে বিশেষ করে শিয়ালদা, মানিকতলা, লেক মার্কেট এবং গড়িয়াহাট মার্কেটে আলুর দাম কমানোর জন্য প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, শিলিগুড়ির বাজারসহ অন্যান্য এলাকায় আলুর দাম কমছে না। এমনকি আজ বুধবারও কেজি প্রতি ৩৫ টাকার নিচে আলু পাওয়া যাচ্ছে না।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিন রাজ্যে আলু রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার পরেও দাম কমেনি।

চশমা সরিয়ে অভিষেক ফিরলেন সংসদে

এমন পরিস্থিতিতে গ্রামবাংলাতেও আলুর দাম কমার আশ্বাস সত্ত্বেও দাম আকাশচুম্বী। শিলিগুড়ি পুরসভায় এক বৈঠকে টাস্কফোর্স এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। সেখানে মহকুমাশাসক ব্যবসায়ীদের জানান, ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার কথা। তবে ব্যবসায়ীরা খরচের কথা তুলে ধরে ৩০ টাকায় আলু বিক্রি করা সম্ভব নয় বলে জানায়। পরে তারা ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে রাজি হয়।

তবে এই দামেও আলু বাজারে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না।এছাড়া, সুফল বাংলার স্টলগুলিতেও ৩২ টাকায় আলু বিক্রি হচ্ছে, যা বাজারের অন্যান্য স্থানের সাথে সমান। ফলে স্পষ্ট হচ্ছে, দাম কমানোর কোনো উদ্যোগই কার্যকর হয়নি। নতুন আলু বাজারে এলেও দাম তেমন হ্রাস পায়নি। আগের মতোই ৩৫ টাকার কাছাকাছি দাম চলমান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে দাম কমলেই কেবল খুচরো বাজারে দাম কমবে।

জামিন পাওয়ার আশা টালমাটাল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার পরবর্তী শুনানি ২ ডিসেম্বর

তবে এখনো পাইকারি বাজারে দাম কমেনি, যার ফলে খুচরো বাজারেও দাম কমছে না। এদিকে, শীত আসলেও শাক-সবজির দাম কমেনি বরং বেড়েই চলেছে। নতুন আলুর দামও ৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য আলু এবং শাক-সবজি সাশ্রয়ী হওয়া জরুরি ছিল কিন্তু দাম কমেনি।

ব্যবসায়ীদের মতে, জ্যোতি আলুর দাম এখন ৩২ টাকা কেজি হলেও খুচরো বাজারে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এখন এই পরিস্থিতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিছু ব্যবসায়ী অভিযোগ করছেন যে, কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বেরিয়ে ২৬ টাকার দামেও পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম কেন কমছে না তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তর নেই।

জল জীবন মিশনে গাফিলতি, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মমতার

গোপনে আলু বাইরে চলে যাচ্ছে এমন অভিযোগও উঠছে, যার ফলে বাজারে জোগানে টান পড়ছে। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপের প্রয়োজন। নাহলে সাধারণ মানুষকে আরও দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ দামে আলু ও শাক-সবজি কিনতে হবে।