শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের (Bail) বিষয়টি এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি। এর আগেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেক অভিযুক্ত জামিন পেলেও, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে চলা সওয়াল-জবাবের পর, ইডি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করে।
ইডির আইনজীবী এসভি রাজু জানান, এই নিয়োগ দুর্নীতির কারণে প্রায় ৫০ হাজার চাকরি প্রার্থীর জীবন বিপন্ন হয়েছে। তার দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলে তিনি সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারবেন, যা মামলার তদন্তে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আইনজীবী মুকুল রোহতগির তার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হয়েছে, তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কেন জামিন পাবেন না?” তার যুক্তি, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুই বছর ৪ মাস জেলে থাকার পরও যদি জামিন না পান, তবে তার আবেদন কেন খারিজ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ, বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার নির্দেশ দেন, সিবিআই কবে এবং কীভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) গ্রেপ্তার করেছে, তার বিস্তারিত নথি আদালতে জমা দিতে হবে। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে ২০ নভেম্বর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিন বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ডিভিশন বেঞ্চ। পরে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর কাছে পাঠান। বুধবার সেই নতুন বেঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা দ্রুত শুনানির আবেদন জানান।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আবেদনে সঠিক সিদ্ধান্ত এখনও আসেনি, তবে আইনগত প্রক্রিয়া অনুযায়ী মামলার শুনানি চলমান রয়েছে এবং এই বিষয়টি আগামী দিনে আরও স্পষ্ট হতে পারে।