Nepal Gorkha Agniveer: ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী নেপালে পাঁচ দিনের সফরে গেছেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে তার এই সফর সম্পন্ন হয়েছে। তবে, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নেপাল থেকে গোর্খা সেনাদের নতুন নিয়োগের পথ এখনও পরিষ্কার নয়। গত চার বছর ধরে গোর্খা সেনা নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। রবিবার এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “ঘোষিত উদ্দেশ্যের বাইরে সফরটি সফল হয়েছে।” এটি দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক সম্মানকে শক্তিশালী করেছে।
জেনারেল দ্বিবেদীর এই সময়কাল খুবই সফল বলা হচ্ছে। সফরকালে, তিনি নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনবীর রাই এবং তার নেপালি সমকক্ষ অশোক রাজ সিগদেলের সাথে আলোচনা করেন। তবে, আলোচনার পর জারি করা সরকারি বিবৃতিতে নেপালী সেনা নিয়োগের বিষয়ে কোনো উল্লেখ করা হয়নি। নেপালের বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী ওলি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার এবং সম্পর্ক সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
কেন এই যাত্রা গুরুত্বপূর্ণ?
ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই সফর এমন এক সময়ে এসেছে যখন নেপাল ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে এবং চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে। ডিসেম্বরের শুরুতে চিন সফরে যাবেন নেপালি প্রধানমন্ত্রী। জেনারেল দ্বিবেদীর সফরের আগে, ভারত-নেপাল সীমান্ত রক্ষাকারী সশস্ত্র সীমা বালের মহাপরিচালক তার নেপালের প্রতিপক্ষের সাথে কথা বলেছেন। অগ্নিবীর প্রকল্প এবং করোনা মহামারী বাস্তবায়নের পর নেপালে সেনা নিয়োগ বন্ধ হয়ে গেছে।
নেপাল অগ্নিবীরের জন্য প্রস্তুত নয়
অগ্নিবীর প্রকল্পের অধীনে, তিনটি সেনাবাহিনীর সেনারা চার বছর মেয়াদে কাজ করবে। চার বছর পর স্থায়ী চাকরিতে যোগ দেওয়া হবে মাত্র ২৫ শতাংশ। নেপাল অগ্নিবীর প্রকল্পের শর্তে তার নাগরিকদের ভর্তি করতে রাজি হয়নি। তারা এটিকে ১৯৪৭ সালের ত্রিপক্ষীয় ভারত-নেপাল-ব্রিটেন চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। চার বছর চাকরির পর সেনাদের চাকরির অনিশ্চয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নেপাল। রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে ৩২০০০ সেনা নেপাল থেকে এসেছে।