উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের চন্দনপুকুর বাজার এলাকায় ঘটেছে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেখানে বাসের কন্ডাক্টরের (Bus conductor) দ্বারা মহিলাকে (Woman) এলোপাথাড়ি মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে ৮১ নম্বর রুটের একটি বাসে এই ঘটনাটি ঘটে, যার পর মহিলা যাত্রীটি টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত কন্ডাক্টরের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্ত (assaulted) মহিলা মোহনপুরের বাসিন্দা এবং ব্যারাকপুরের একটি অভিজাত সোনার দোকানে রিসেপশনিস্ট পদে কাজ করেন। ঘটনার দিন, সকাল ১০টা নাগাদ তিনি মোহনপুর মোড় থেকে ৮১ নম্বর রুটের বাসে ওঠেন এবং ব্যারাকপুর স্টেশন মোড়ে নামার কথা ছিল। বাসে চড়ে ভাড়া দেওয়ার সময় মহিলা কন্ডাক্টরকে ১০০ টাকার একটি নোট দেন। তবে কন্ডাক্টর তা নিতে অস্বীকার করেন এবং জানান, নির্দিষ্ট ভাড়ার টাকাই দিতে হবে, খুচরো না দিলে ভাড়া নেবেন না। মহিলার কাছে খুচরো টাকা ছিল না, তাই তিনি কন্ডাক্টরকে তার অসহায়তার কথা জানান।
কিন্তু কন্ডাক্টরের প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। অভিযোগ, কন্ডাক্টর মহিলাকে তুই-তোকারি করে গালিগালাজ শুরু করেন। মহিলাও প্রতিবাদ করেন, কিন্তু কন্ডাক্টর তখন চলন্ত বাসে তার উপর এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুষি মারতে শুরু করেন। আশেপাশের যাত্রীরা সবাই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন এবং কেউ প্রতিবাদ করেননি। মহিলা অবশেষে ব্যারাকপুরে নেমে টিটাগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং পুলিশের সাহায্য নিয়ে ব্যারাকপুরের বিএন বোস হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
মহিলা অভিযোগ করেছেন, ‘‘অন্যান্য দিন খুচরো টাকা থাকলে আমি কোনো সমস্যা হত না। কিন্তু আজ আমার কাছে তা ছিল না। আমি কন্ডাক্টরকে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি আমাকে গালিগালাজ করতে থাকেন এবং পরে চলন্ত বাসে মারধর করেন।’’ তার দাবি, তিনি বিচার চান এবং কন্ডাক্টরের শাস্তি নিশ্চিত করতে চান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহিলার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত কন্ডাক্টরের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাসের চালককেও থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।