নৈহাটি (Naihati) উপনির্বাচনে সনৎ দে’র রেকর্ড জয় এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তৃণমূলের এই প্রার্থী অত্যন্ত বড় ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নৈহাটি সফরের (Visit) খবর সামনে এসেছে। মঙ্গলবার তিনি নৈহাটির শতাব্দী প্রাচীন বড়মা (Boroma) মন্দিরে (Temple) পুজো দেবেন। এই সফরের প্রস্তুতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা প্রশাসন বৈঠক করেছে।
নৈহাটি উপনির্বাচনে সনৎ দে প্রায় ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন, যা পূর্ববর্তী বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের জয়ী ব্যবধানকে ছাড়িয়ে গেছে। এই জয় অনেকটাই ব্যতিক্রমী, কারণ এবারের নির্বাচনে সনৎ দে’র পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন ময়দানের তিন প্রধান ক্রীড়া সংগঠক, যাদের সমর্থন নিয়ে কিছু বিতর্ক হয়েছিল। তবে এসব সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে, সনৎ দে তার দক্ষতার মাধ্যমে জনগণের সমর্থন অর্জন করেছেন। তৃণমূল নেতৃত্বর উৎসাহে মেতে উঠেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নৈহাটি সফর উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মন্দিরের চারপাশে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে, কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে প্রবেশ করবেন এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
মন্দিরে জনসমাগম নিয়েও কিছু প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে প্রবেশের পর সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এই সফরের পর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাংবাদিক সম্মেলন হতে পারে। তবে, সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এই সফরের মাধ্যমে নৈহাটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন এক দৃষ্টিকোণ পাওয়া যাবে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি জনগণের আগ্রহ আরও বাড়বে।
এছাড়াও, মন্দির সংস্কারের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছেন, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার করেছে। এই সফর শুধুমাত্র রাজনৈতিক গুরুত্ব নয়, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্বও বহন করছে।