শীতের শুরুতেই ফের বাড়ছে সবজির দাম, মাথায় হাত ক্রেতা থেকে বিক্রেতার

রাজ্যের বাজারে কাঁচামালের দাম (vegetable price) আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, শসা, গাজর, বিটরুট, বাঁধাকপি, আদা, কাঁচালঙ্কা সহ নানা সবজির দাম (vegetable price)…

vegetable price

রাজ্যের বাজারে কাঁচামালের দাম (vegetable price) আকাশ ছুঁয়েছে। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো, শসা, গাজর, বিটরুট, বাঁধাকপি, আদা, কাঁচালঙ্কা সহ নানা সবজির দাম (vegetable price) বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে কিছু সবজির দাম (vegetable price) এতটাই বেড়েছে যে, মধ্যবিত্ত পরিবারদের জন্য দৈনন্দিন খাবারের প্রস্তুতিও কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের হোলসেল মার্কেটে টমেটোর দাম একদিনে ২০০ টাকার বেশি বেড়ে ৮০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। কিছুদিন আগেও যা ৬০০ টাকার আশপাশে ছিল। এই টমেটোর দাম (vegetable price) প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে এবং এক বক্স টমেটোর ওজন ২৭ কেজি। দাম (vegetable price) বৃদ্ধির এই ঘটনার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, তামিলনাড়ুর ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত এর জন্য দায়ী। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কমে যাওয়ায় কাঁচামালের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং তার ফলে বাজারে দাম (vegetable price) বৃদ্ধি পেয়েছে।

   

এছাড়াও পেঁয়াজ, রসুন, শসা, গাজর, কপি এবং অন্যান্য সবজির দামও (vegetable price) বেড়ে গেছে। একদিকে যেমন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি ভোক্তারা এই দাম বৃদ্ধির কারণে বিশেষভাবে বিপদে পড়েছেন। খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের দাম বর্তমানে ৯০-১০০ টাকার মধ্যে চলছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকার মধ্যে। তাছাড়া, ছোট আকারের রসুনের দাম এখন ২০০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত পৌঁছেছে, যা গত মাসে ছিল ১৫০ টাকার আশপাশে।

যদিও তিরুবনন্তপুরমের বাজারে দাম (vegetable price)বেড়েছে, তবে এর পাশের এলাকা যেমন এর্ণাকুলামে দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে। সেখানে পেঁয়াজের দাম এখনও ৭২ টাকা প্রতি কেজি, যা অনেকটা কম। তবে, এখানেও দাম বাড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বৃদ্ধির ফলে তাদের ওপর চাপ বাড়ছে এবং তারা অনেক সতর্কতার সঙ্গে পণ্য বিক্রি করছেন। পেঁয়াজ এবং রসুনের ব্যবসা এখন ‘স্বর্ণের মতো’ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেননা পণ্যটির মূল্য এখন এতটাই বেড়ে গেছে যে, প্রতি কেজি বিক্রি করলেই তারা লাভবান হচ্ছেন।

তবে কোচি এবং চালাই বাজারে বর্তমানে কিছুটা স্বস্তির পরিস্থিতি রয়েছে। কোচির বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও বেশ নিয়মিত এবং এক কেজির দাম ৭২ টাকা। অন্যান্য সবজির দামও খুব বেশি বাড়েনি। ব্যবসায়ীরা জানান, যদি এমন পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে আগামী সপ্তাহগুলিতে দাম আরও বাড়তে পারে।

এই মূল্যবৃদ্ধি শুধু কেরালা রাজ্যেই নয়, বরং তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলিতেও অনুভূত হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতের অনেক রাজ্যে একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে, চাহিদা বাড়ানো এবং সরবরাহ কমে যাওয়াও মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে কাঁচামালের পরিবহণে দেরি হচ্ছে, যা দাম বাড়ানোর আরও একটি কারণ।

সবজি ব্যবসায়ীদের মতে, বাজারে দাম কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। তবে তারা এটাও জানাচ্ছেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে যদি ত্বরিত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তবে আগামীদিনে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ জনগণের ওপর চাপ বাড়ছে, এবং খাদ্য বাজেটেও হেরফের হচ্ছে।

তবে একটি আশা প্রকাশ করা যাচ্ছে, তা হল যে কিছু এলাকায় দাম তুলনামূলকভাবে কম রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, কোচি এবং কোল্লামের বাজারে পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলেও, অন্যান্য শহরে মূল্যবৃদ্ধি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সামগ্রিকভাবে, কাঁচামাল বাজারের এই অবস্থা শীঘ্রই নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে সহায়তা প্রত্যাশা করা হচ্ছে।