শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই আদানি নিয়ে আলোচনার দাবি বিরোধীদের

আমেরিকায় ঘুষকাণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর (Gautam Adani bribe scam) নাম জড়ানো নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (Winter session in Parliament) আলোচনা চেয়েছে বিরোধী দলগুলো। সোমবার থেকে শুরু…

Opposition demands debate on Adani controversy in winter session of parliament starting from Monday

আমেরিকায় ঘুষকাণ্ডে আদানি গোষ্ঠীর (Gautam Adani bribe scam) নাম জড়ানো নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে (Winter session in Parliament) আলোচনা চেয়েছে বিরোধী দলগুলো। সোমবার থেকে শুরু হতে চলা এই অধিবেশন নিয়ে রবিবার সকালে ডাকা সর্বদল বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। 

ভারতের ভোট গণনা প্রক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা মাস্কের, হতাশ মার্কিন ব্যবস্থা নিয়ে

   

কংগ্রেসসহ (INC) বিভিন্ন বিরোধী দল আমেরিকায় আদানি গোষ্ঠীর (Gautam Adani) বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগ নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনা দাবি করেছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে মণিপুরের অশান্ত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা চান। সর্বদল বৈঠকের পর কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি জানান, তাঁদের দল দিল্লির ক্রমবর্ধমান দূষণ এবং ঘন ঘন ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়েও আলোচনা করার জন্য সরকারকে চাপ দেবে।

শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে সর্বদল বৈঠক একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ। এখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো তুলতে পারে। এই বৈঠকে অংশ নিয়ে কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে।

সম্প্রতি আমেরিকায় এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুষ দিয়েছে। এই অভিযোগ ভারতেও চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। বিরোধীদের মতে, এই অভিযোগ দেশের আর্থিক শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতার প্রশ্ন তোলে।

বৈঠকে মণিপুরের অশান্তি নিয়েও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা অশান্তি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। রাহুল গান্ধী এই ইস্যুতে সরকারের থেকে সঠিক জবাবদিহি দাবি করেছেন। 

কে হবেন মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? মহাদ্যুতি ‘ত্রয়ী’কে ঘিরে তুঙ্গে জল্পনা

দিল্লির বায়ুদূষণ প্রতিদিন নতুন রেকর্ড গড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল মনে করছে, কেন্দ্রীয় সরকার এই ইস্যুতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে, সম্প্রতি একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনার উল্লেখ করে রেলওয়ে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে বিরোধীদের সমস্ত দাবি নিয়ে আলোচনা হবে কি না, তা নিয়ে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার জানিয়েছে যে, তারা আলোচনা থেকে পিছু হঠবে না এবং সব বিষয়েই যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনা করতে প্রস্তুত।

এই অধিবেশন ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে শেষ বড় অধিবেশনগুলোর একটি। ফলে বিরোধীরা এই মঞ্চকে সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে চাইবে। অন্যদিকে, সরকার চাইবে নিজেদের সাফল্য এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো তুলে ধরতে। 

সন্দেহজনক বিস্ফোরক উদ্ধারে ভূস্বর্গে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান

আদানি গোষ্ঠী নিয়ে ওঠা অভিযোগ, মণিপুরের অশান্তি, দিল্লির দূষণ এবং ট্রেন দুর্ঘটনার মতো বিষয়গুলো শীতকালীন অধিবেশনকে উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। বিরোধীদের দাবি এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে, তা নিশ্চিত। আগামী দিনগুলোতে এই বিষয়গুলোর উপর সংসদীয় বিতর্ক ভারতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।