রবিবার সকালেই উল্টোডাঙার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১০-১২টি ঘর

রবিবার সকালে উল্টোডাঙা রেললাইনের ধারে এক ঘিঞ্জি বস্তি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Slum Fire) ঘটনা ঘটে। সাতসকালে বস্তির ঘরগুলোতে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় দমকল…

Massive Fire Erupts in Slum Near Ultadanga Rail Line; 5 Fire Tenders Deployed

রবিবার সকালে উল্টোডাঙা রেললাইনের ধারে এক ঘিঞ্জি বস্তি এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Slum Fire) ঘটনা ঘটে। সাতসকালে বস্তির ঘরগুলোতে আগুন লাগার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছায় দমকল বাহিনীর পাঁচটি ইঞ্জিন। এলাকাটি ঘিঞ্জি হওয়ার কারণে আগুন (Slum Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, যা দমকলকর্মীদের জন্য আগুন (Slum Fire) নিয়ন্ত্রণে আনতে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগুন (Slum Fire) লাগার সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী, শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। বস্তি এলাকায় প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন (Slum Fire) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঘরগুলির ভেতরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারগুলোও বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। তাপের কারণে সিলিন্ডার (Slum Fire) বিস্ফোরণের ঝুঁকি থাকায় দমকলকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় দ্রুত সিলিন্ডার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

   

দমকল বাহিনী চারিদিক থেকে আগুন (Slum Fire)নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন (Slum Fire) নেভানোর কাজ শুরু করে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করে। তৎপরতার সঙ্গে কাজ করায় শেষমেশ আগুন (Slum Fire) অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কিছু পকেট ফায়ার থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০-১২টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলির আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

এই অগ্নিকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বস্তির স্থানীয় বাসিন্দারা। সকালে আগুন লেগে যাওয়ায় অনেকেই তাদের ঘর থেকে কিছুই বের করে আনতে পারেননি। ঘরবাড়ি হারিয়ে একপ্রকার খোলা আকাশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছেন তারা। স্থানীয় প্রশাসন এবং সাহায্য সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ এবং অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ শুরু করেছে।

এ ধরনের ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন এবং গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবস্থাপনা যথাযথ না হলে, এমন বিপর্যয়ের আশঙ্কা থেকেই যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন এলাকায় আগুন নিবারণের জন্য আরও উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি।

এই দুর্ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন এবং দমকল বিভাগের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশংসা করা হচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আরও সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, ক্ষতির কারণ সঠিকভাবে খুঁজে বের করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।